কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, যে হারে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হচ্ছে, দুর্নীতির সাথে পাল্লা দিয়ে টিকতে পারছে না। এটাকে এখন ধরতে হবে, এটাকে এখন থামাতে হবে। এটা যেই হোক। বর্তমান সরকার একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে যে, সমাজ থেকে দুর্নীতি উচ্ছেদ করার জন্য। আমিও মনে করি, এটি খুব ভালো ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তার নিজের ঘর থেকে শুরু করতে হবে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ বলুন অর্থাৎ যে যে দলই করুক না কেন, দুর্নীতি যে করবে তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকালে স্বাধীনতা ভাষ্কর্য ৭১ উদ্বোধন উপলক্ষে তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কলেজ মাঠে তাড়াইল নাগরিক কমিটি আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।
১৯৭০ সালে প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হওয়া প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা ছিল ইটনা, অষ্টগ্রাম, নিকলী ও তাড়াইল এই চারটি থানা। মিঠামইন তখন পূর্ণাঙ্গ থানা হয়নি। আমি ভোটের দিকে চার থানার মধ্যে তাড়াইলের প্রথম হয়েছিলাম। সুতরাং তাড়াইলের সাথে আমার আলাদা একটি সম্পর্ক রয়েছে। সারাজীবন এটা আমার মনে আছে এবং মনে থাকবে। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে আমি আপনাদের সহযোগিতা পেয়েছি। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, সব দলের মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পিপি শাহ আজিজুল হক, তাড়াইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম ভূঞা শাহীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লাকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে এক সপ্তাহের সরকারি সফরের প্রথম দিন বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে তাড়াইল উপজেলার শামুকজানি মাঠের হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। হেলিপ্যাড থেকে তিনি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে যান। সেখানে প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে তিনি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে নবনির্মিত স্বাধীনতা ‘৭১ ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ সদরে সার্কিট হাউসে সরকারি কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।