টঙ্গীতে নেশার টাকা না পেয়ে সাজেদা বেগম (২৯) নামের এক নারীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। গত শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে মেঘনা রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। খুনের অভিযোগে স্বামী মো. রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। অভিযুক্ত রুবেল নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল থানার মো. শাহী মিয়ার ছেলে। নিহত সাজেদা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শুভারামপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে।
টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মানিক মাহমুদ বলেন, গত কয়েক বছর আগে রুবেল ও সাজেদার বিয়ে হয়। তারা টঙ্গীর মেঘনা রোড বস্তিতে থাকতেন। নেশাগ্রস্ত রুবেল প্রায়ই তার স্ত্রী সাজেদাকে শ্বশুড় বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করতো। এরই জের ধরে গত শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী রুবেল স্ত্রী সাজেদাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেষ্টা চালায় সে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত সাজেদা সাংসারিক জীবনে তিন সন্তানের জননী ছিলেন।
নিহতের পিতা ফরিদ মিয়া জানান, নেশার টাকা না দিতে পারায় আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমার মেয়ে ভাঙ্গারির দোকানে কাজ করে এতোদিন নেশার টাকা দিয়ে এসেছে।এখন দেড় মাসের বাচ্চা নিয়ে কাজ করতে পারে না। তাই তাকে নেশার টাকার জন্য নির্যাতন করে আসছিল রুবেল।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।