টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় মঙ্গলবার সকালে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হাবিব খান (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ কলেজ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ট্রাফিক ও টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, হাবিব সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিলগেটের বাসা থেকে বেরিয়ে গাজীপুর-ঢাকা রুটে চলাচলরত ভিআইপি-২৭ বাসে ঝুলে টঙ্গী কলেজগেটের সিটি কলেজে যাচ্ছিলেন। বলাকা পরিবহণের একটি বাস তাকে বহনকারী বাসটিকে ধাক্কা দিলে তিনি পা ফসকে মহাসড়কে পড়ে যান। এ সময় পেছনে থাকা বলাকা পরিবহণের বাসটির চাকা তার উপর দিয়ে চলে গেলে হাবিব গুরুত্বর আহত হন। পরে আশপাশের পথচারিরা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় দুপুর দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। এখবর তার সহপাঠীদের কাছে পৌছলে তারা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মিলগেট এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে এবং মহাসড়কে চলাচলরত বেশকিছু ভিআইপি-২৭ ও বলাকা পরিবহণের গাড়ি আটক করে চালকদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে নেয়। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে প্রায় ১৫মিনিট তীব্র যানজট লেগে থাকে। খবর পেয়ে ট্রাফিক দক্ষিণের সহকারি পুলিশ কমিশনার থোয়াই অং প্রু মারমা, উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সাহাদাত হোসেন, টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হক, ওসি (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন, পূর্ব থানার ওসি (অপারেশন) সুব্রত কুমার পোদ্দার ও ট্রাফিক সার্জেন্ট এরশাদসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নিহত হাবিব খান নোয়াখালী জেলার সেনবাগের সেলিম খানের ছেলে। তিনি পরিবারের সাথে মিলগেট নামাবাজার বসবাস করতেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।