বাবার সংসার থেকে আলাদা হওয়ার পর থেকে ঝুপড়ি ঘরে ঝড়-বৃষ্ঠি মাথায় নিয়ে বহু কষ্ঠে দিন পার করেছি আমার পরবিার নিয়ে, এবার বর্ষাকালে মোর আর চিন্তা নাই এ ঘর পেয়ে জীবনের শেষ দিনগুলো নিশ্চিন্তে পার করতে পারবো। খুশিতে আত্মহারা হয়ে প্রাণখুলে কথাগুলো বলছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভবানন্দপুর গ্রামের দারুল ইসলাম নামের এক দিন মুজুর।
একই গ্রামের জোসনা বেগম বলেন, আমার স্বামী ও আমি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালাতাম স্বামীর সামান্য বসত ভিটা টুকু ছাড়া আর যে, কিছুই নেই! ছিলনা রাত্রীযাপন করার তেমন কোন ব্যাবস্থা, প্রধান মন্ত্রীর দেয়া পাকা ঘর পেয়ে জীবনের অবাস্তব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, যা কখনো কল্পনায় আসেনি। এখন পাকা ঘর পেয়ে মহা খুশি ছাড়া আর কি হতে পারে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষক,দিনমজুর, গৃহপরিচালিকা, শ্রমিক ও ভিক্ষুক সহ অসচ্ছল ৩০টি পরিবার পেল দূর্যোগ সহনীয় পর্যায়ে বাসগৃহ। প্রতিটি গৃহে রয়েছে ২টি কক্ষ,২টি বারান্দা,১টি রান্না ঘর সহ টয়লেটের ব্যাবস্থা। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন প্রতিনিধি কে বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় দূর্যোগ সহনীয় পর্যায়ে এসব বাসগৃহ নির্মণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে এসব সুবিধাভোগী পরিবার গুলোকে টিউবওয়েল ও সৌর বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে।
এ প্রসঙ্গে উপ-সহকারি প্রকৌশলী তাজ উদ্দীন বলেন,প্রক্কলন অনূযায়ী প্রতি ঘরে ২লক্ষ ৫৮ হাজার ৫ শত ৩১ টাকা হিসাবে ৩০টি ঘরের অনূকুলে ৭৭,৫৫,৯,৩০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর প্রধান মন্ত্রীর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করতে হয়েছে। এছাড়াও এ উপজেলায় দূর্যোগ সহনীয় পর্যায়ে ঘরগুলি জেলা প্রশাসক মহোদয় সুপারভিশন করেছেন।
এসব বাসগৃহ নির্মাণে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মৌসুমি আফরিদা’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলায় ৩০টি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। অসচ্ছল মানুষ এসব আধুনিক মানের গৃহ পেয়ে খুবই খুশি এবং আনন্দে দিশেহারা।