দুঃখ-বেদনায় আক্রান্ত হচ্ছে ধর্ম-দেশ-মানুষ-মানচিত্র। জীবন আলোর পরিবর্তে অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে। ধর্মব্যবসায়ীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, সেভাবেই বাড়ছে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-জঙ্গী-স্বাধীনতা ব্যবসায়ীর সংখ্যা। এদের হাত ধরে রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে অস্থিতিশীলতা। এমন পরিস্থিতিতে, এই দেশে ক্যাসিনোকিং খ্যাত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট জুয়ার বোর্ডে একদিনে ৪৫ কোটি টাকা পর্যন্ত খুইয়েছেন’ বলে সংবাদ যেমন প্রকাশিত হয়েছে; তেমন প্রকাশিত হয়েছে মুহাম্মদ(সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় আন্দোলন করার সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে শতাধিক আহত ও ৪ জন নিহত হওয়ার সংবাদ।
একই দেশ একই মানচিত্র, একই ধর্মের কিছু অংশে ঘটছে জুয়া-সন্ত্রসীর ঘটনা। আর কিছু অংশে ধর্ম ব্যবসা এবং চর্চা। অবাক করা বিষয় হলো- র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানিয়েছেন- জুয়া খেলতে যেতেন সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে ক্যাসিনোতে। সঙ্গে নিতেন লাগেজভর্তি ডলার। ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে বিমানে উঠতেন সম্রাট। তার লাগেজ চেক করা দূরের কথা কখনই তাকে দেহতল্লাশির মুখোমুখিও হতে হয়নি। ক্যাসিনোতে তিনি দু’হাতে টাকা উড়ান। কখনও হারেন, কখনও জেতেন। অবশ্য গণমাধ্যমে দেয়া তথ্যানুযায়ী- র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে নিজের জুয়ার নেশা থেকে শুরু করে ঢাকার ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের আদ্যোপান্ত সবিস্তারে খুলে বলছেন সম্রাট। তার গডফাদার কে, কিভাবে তিনি ক্যাসিনো জগতে এলেন এবং জুয়ার টাকা কার কার পকেটে গেছে সবার নামই তিনি বলছেন। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া নামগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে নামের তালিকা পাঠানো হচ্ছে সরকারের উচ্চপর্যায়ে। ক্যাসিনো কিং সম্রাটের অর্থ-সম্পদের একটি লম্বা ফিরিস্তি পাওয়া গেছে। দুবাই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে টাকা জমা রেখেছেন সম্রাট। তার ভাই বাদলের নামে রাজধানীর আশপাশে কয়েকটি প্লট ও ফ্ল্যাট কিনে রেখেছেন তিনি। এছাড়া ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের জনৈক নেত্রী মৌসুমির সঙ্গে সম্রাটের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মৌসুমির নামে পুলিশ প্লাজায় একাধিক দোকান কিনেছেন।
পতœী-উপপতিœর রাজা, জুয়ারী স¤্রাটের এমন তথ্য যেমন নোংরা সমাজের রাজনীতি-অর্থনীতির পরিচয় বহন করে এগিয়ে চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে; তখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ঘে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবকের হ্যাক করা ফেসবুক আইডি থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট’ দেয়াকে কেন্দ্র করে দিনভর এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত দু’জন ছাত্রসহ ৪ জন নিহত এবং ১০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।
অনলাইন প্রেস ইউনিটি ভোলা জেলা শাখার সভাপতি, কবি-সাংবাদিক রিপন শান-এর কাছ থেকে জেনেনছি- বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ শেষে শুরু হওয়া সংঘর্ষে গুলি, টিয়ার গ্যাসের শেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষে আহত ৪৫ জনকে ভোলা সদর ও ৬০ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বাকিদের বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল জোরদার করার পর বিকালেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতরা হচ্ছেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার মহিউদ্দিন পাটওয়ারীর মাদ্রাসা ছাত্র মাহবুব (১৪), উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের কলেজপড়–য়া ছেলে শাহিন (২৩), বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫), মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (৪০)।
যতদূর জেনেছি- যার ফেসবুক আইডি থেকে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে তার নাম বিপ্লব চন্দ্র শুভ। তিনি বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চন্দ্রমোহন বৈদ্দের ছেলে। তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করার পর তিনি থানায় জিডি করতে গেলে ওইদিনই পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আরও দু’জনকে আটক করেছে। শুভর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে আপত্তিকর মন্তব্য লেখার হুমকি দিয়ে হ্যাকাররা টাকা দাবি করেছিল। আর এরই মধ্যে ধর্মীয় সকল পজিটিভ কথাকে ভুলে গিয়ে শান্তির বারতা না নিয়ে উস্কানিমূলক কথা ছড়াতে থাকে কিছু ধর্মব্যবসায়ী। তবু বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মাঠে ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সম্পন্ন হয়।
অবশ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি হ্যাক করে একজন অপরাধীর আপত্তিকর পোস্ট দেয়া নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল না করার অনুরোধ জানানো হচ্ছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পুলিশ শনিবার বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন ও বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানকে সমাবেশ না করার অনুরোধ জানায়। কিন্তু একটি গ্রুপ ঈদগাহ মাঠে সমাবেশের আয়োজন করলেও দ্রুত মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এরপর আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার লোক ঈদগাহ মাঠে জড়ো হয়ে ইমামদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় তারা পুলিশের ওপরও চড়াও হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ওই মসজিদের ইমামের কক্ষে আশ্রয় নেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা পুলিশকে টার্গেট করে নির্বিচারে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর আরও আক্রমণ চালায়। দুপুর ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের বক্তব্য হলো- ঘটনার জন্য যারাই জড়িত থাকুক না কেন, সবাইকেই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পেছনে যারা আছেন তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে ছেলেটি ফেসবুক আইডি হ্যাক করে আপত্তিকর কথা লেখার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করেছিল, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে তার থানারই ১০ জন সদস্য রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরিফ নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শুভ নামের এক ছেলের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার ঘটনা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে কয়েকজনকে আটকও করেছে। এ নিয়ে শনিবার স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে পুলিশের বৈঠক হয়। সেখানে পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতিও দেয়। তবে স্থানীয় নেতারা এ নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ না করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপরও রোববার একটি গ্রুপ সমাবেশ করে। তবে শান্তিপূর্ণভাবেই সমাবেশ শেষ হয়। কিন্তু সমাবেশ শেষে কিছু লোক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এমন পরিস্থিতির মুখে পুলিশ কর্মকর্তারা ঈদগাহ মসজিদের একটি কক্ষে আশ্রয় নেন। বিক্ষুব্ধরা ওই কক্ষেও হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা ওই কক্ষের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলতে থাকে। এ পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। একজন পুলিশ সদস্যের বুকে গুলি লাগে, তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দোষীদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। যেহেতু অপরাধী পুলিশের হাতে আটক আছে, অবশ্যই এর কঠিন বিচার হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের বিচারে কঠোর আইন পাস করেছেন। নবীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কেউ পার পাবে না। তিনি বলেন, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করার বিষয়ে।
আমার কাাছে মনে হয়েছে- ‘লা আবুদু মা তা আবুদুন’ ভুলে গিয়ে অপরাধের রাস্তায় অগ্রসর হচ্ছে ছাত্রশিবির-জামায়াত। আর সেই ফাঁদেই আটকে যায় আমাদের ধর্ম ভিরু মানুষেরা। তারা করেরাষ।ট্রকে, সরকারকে বেকায়দাায় ফেলার আন্দোলন; মাঝখানে জীবন হারায় সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে এই ৪ জন নিহতর বিষয়ে বলে গেলে উঠে অসে প্রকৃত তথ্য- বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া এলাকার শাহীন কৌতূহলী হয়েই সামাবেশস্থলে এসে গুলিবিদ্ধ হন। বিভিন্ন স্থান থেকে যারা সমাবেশে এসেছিলেন, তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়। আর এতেই আহত হয়- মো. নুরে আলম, নবম শ্রেণির ছাত্র মো. আসিব, মাফুজুর রহমান, মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড মসজিদের ইমাম মো. হাবিবুর রহমান, মো. রিয়াজ উদ্দিন, আবু তাহের, মাদ্রাসাছাত্র মো. মনজুর, রাজমিস্ত্রি ইমন, মো. কামাল, মো. ইসমাইল, মো. তাজল ইসলাম, মো. সুজন, কলেজছাত্র মো. রনি, মাদ্রাসাছাত্র মো. রাকিব (১০), পুলিশ সদস্য আরিফ, মো. সাকিল, মো. সোহেল, আবু তাহের, আবদুল গনি, মো. নান্নু, মো. আসাদুজ্জামান, মো. আজাদ, মো. সবুজ, মো. রিয়াজ, মো. সেকান্দর, মো. আলাউদ্দিন, মো. আরিফ হোসেন, মো. মাফুজ, মো. জামাল, মো. রাকিব, মো. ফয়সাল, মো. রফি উদ্দিন, মো. আরিফ হোসেন, সোহরাব হোসেন, মো. সবুজ উদ্দিন, মো. মুন্না, মো. সুজন, মো. তাজল ইসলাম, মো. আলমগীর, মো. রাকিব হোসেন, মো. মিজান উদ্দিন, মো. আবদুল্লাহ, মো. ফয়সাল হোসেন, মো. মারুফ, মো. সবুজ, মো. ইমাম হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. শামীম, কেতাবউদ্দিন, মো. মোসলেউদ্দিন (৪৫), ইমন (১৮), রিয়াজউদ্দিন ( ২৯), আবু তাহের ( ৫৫), আবুল কালাম ( ৩৮)।
এমতবস্থায় যারা এমন একটি ঘটনার নেপথ্য নায়ক তাদের ফাঁসি চাই, চাই আহতদের সরকারিভাবে চিকিৎসা দেয়া, বোরহানউদ্দিনের ওসিসহ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার, নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়া, গ্রেফতারকৃদের ব্যপারে তদন্ত কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে প্রমাণিত অপরাধী হলে কমপক্ষে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে। গুলিবিদ্ধ ৩০ জনের জন্য চাই সরকার বিশেষ সকল সুবিধা; আর অপরাধী হলে অবশ্যই দৃষ্টাান্তমূলক শাস্তি। বোরহানউদ্দিনের মিজানুর রহমান (৩০), ইউনুস (৬০), নান্টু (৪০), মাকসুদুর রহমান (১৮), তানভীর (৩০), ওয়ালিউল্লাহ (২৪), সিদ্দিক (২৮), আবু তাহের (৩০), শামীম (১৮), সোহরাব (৩০), আল আমিন (১৮), জামাল (২৫), আবুল কালাম (৩৮), কবির (৩৫), আলাউদ্দিন (৪২), সোহেল (২৬), হান্নান (৪৫), মো. রিয়াজ (২৯), ইমাম হাসান (২৬), নুরুল ইসলাম (৩৫), রকিব (১২), মনির (১৭), রাকিব (১৫), হাসিব (১৪), তাজুল ইসলাম (৫৫), মুন্না (১৩) ও সুজন (৩৫)-এর প্রকৃত রাজনৈতিক পরিচয় জেনে নিতে হবে ব্যবস্থা। যাতে করে কেউ আর পুলিশের উপর হামলার ম অপরাধী কর্ম করতে গেল আইনী কারণেও পিছুটান দেয়-ভয় পায় অরাজকতা তৈরি করতে।
আমি মনে করি অন্ধকারের রাজনীতি-অর্থনীতিতে তৈরি হওয়া মানুষগুলোকে কালোর পথে নেয়ার জন্য আমাদেও মসজিদেও ইমামগণ অনেকাংশই দায়। তাদের ইহকালিন চিন্তার কারণে নিকৃষ্টতর ঘুষঘোর-সুদখোড় কালো টাকার মালিকরা মসজিদ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়; অপরাধ-দুর্নীতি বাড়ে-ধর্মীয় অন্ধত্বও বেড়ে যায় আকারে। আশা করি আমাদের ইমামগণ নির্মোহ হয়ে এগিয় আসবেন নিজেদের ধর্মীয় দায়িত্ববোধ থেকে। বলবেন সত্য কথা। দুর্নীতি-জুয়া-নারী লিপ্সুতার ব্যাপারে সচেতন করবেন মানুষকে। পথ দেখাবেন আলোর-ভালোর-শান্তি-সমৃদ্ধির। যাতে করে নির্বাচনে নীতি বিবর্জিত কালো টাকার মালিকরা নির্বাচিত হতে না পারে; আর যেন দুর্নীতিবাজ-জঙ্গী বা বাাংলাদেশ-স্বাধীনতা-স্বাধীকার বিরোধী-ধর্মব্যবসায়ী আসতে না পারে জনপ্রতিনিধি হয়ে আপনার আমার আমাদের সমাজে- দেশে- রাষ্ট্রে...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি