জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ১১দিন বয়সী এক শিশু কন্যাকে বিক্রি করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০অক্টোবর বুধবার বিকালে উপজেলার মাজালিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক নারীদের ভীড় জমে ওঠে।
এলাকাবাসী ও শিশুর মাতা নাজমা বেগম(২৩) বলেন, সে ঢাকার সায়েদাবাদে এক গার্মেন্টস কর্মী মিরাজ আলীর সাথে তার প্রেমের সর্ম্পকে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রেখে তার স্বামী মিরাজ আলী মারা যান। অন্য কোন উপায় না থাকায় নাজমা পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য জামালপুরে ভিক্ষে করতে আসলে গত ২০ অক্টোবর জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নাজমা একটি কন্যাশিশু প্রসব করেন। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের আবদুল হানিফের স্ত্রী ফাহিমা বেগমের সাথে নাজমার সাক্ষাৎ হয়। নাজমার স্বামী মৃত্যু ও দারিদ্রতা ও আসহায়ত্বের কথা শুনে গত ২৭ অক্টোবর ফাহিমা বেগমের বাড়ীতে নাজমাকে আশ্রয় দেন। অসুস্থ নাজমার তার কোন সহায় সম্বল না থাকায় তার ১১দিন বয়সী কন্যা শিশুকে বিক্রির প্রস্তাব দেন।পরে সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের নিঃসন্তান দম্পত্তি মারুফা ইসলামের কাছে নগদ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে আশ্রিতা ফাহিমার বাড়ী থেকে বুধবার বিকালে ১১ দিন বয়সী কন্যাশিশু বিবি আয়শা কে বিক্রি করে দেন শিশুর মাতা নাজমা বেগম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিঃসন্তান দম্পত্তি মারুফা ইসলাম বলেন, শিশু বিবি আয়শার মাতা নাজমাকে নগদ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিয়ে এসেছি বলে জানান।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মন্টু মিয়া বলেন, সহায় সম্বলহীন নাজমা নামে এক মহিলার ১১ দিনের কন্যা শিশুটি লালন পালন ও নিজের জীবন যাপনের এবং চিকিৎসার কোন অবলম্বন না থাকায় শিশুটি ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে চলে গেছে। সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ইউপি সচিব সফিকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।