মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ষোলআনী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২২ জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ আহসান বেপারী, শহীদ বেপারী, জাহিদ হাসান ওরফে রুকু দেওয়ান, শাহপরান ও আবু তাহেরের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহসান বেপারী ও শহীদ বেপারীকে জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংষর্ষকালে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক ও ৯টি ককটেল উদ্ধার করেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ইমামপুরের ষোলআনি গ্রামে শাহ আলম মেম্বার, রায়হান এবং সবুজ দেওয়ান গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আধিপত্ত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন কারণে ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য শাহ আলম, রায়হান গ্রুপের সাথে ষোলআনি গ্রামের সবুজ দেওয়ানে গ্রুপের লোকজনের সাথে বিরোধ ছিল। নানা কারণে গত কয়েক মাসে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলা-মামলার ভয়ে শাহ আলম, রায়হান গ্রুপের লোকজন প্রায় এক মাস ধরে গ্রাম ছাড়া ছিল। আজ ( শনিবার ) সকালে তারা এলাকায় ফিরে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য সজিব দেওয়ান গ্রুপের উপর হামলা চালিয়ে অর্ধশত ঘরবাড়ী ভাংচুর ও তিনটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটনায়। এ সময় সজিব দেওয়ান গ্রুপের লোকজন তাদের প্রতিহত করতে চাইলে প্রায় ২০ রাউন্ডের মত গুলিবর্ষণ করে তারা। প্রতিপক্ষের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় সজিব দেওয়ান গ্রুপের আহসান বেপারী, শহীদ বেপারী, জাহিদ হাসান ওরফে রুকু দেওয়ান, শাহপরান ও আবু তাহের। সংঘর্ষের সময় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যলয় ও বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করা হয়।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনকে আটক করে এবং ৯টি ককটেল উদ্ধার করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।