ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক জেডিসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের পর আটকে রেখে প্রায় ২৫ দিন ধরে দলবদ্ধ গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার গফরগাঁও-কান্দিপাড়া সড়কের ধাইরগাঁও বাজার এলাকায় মানববন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। ধর্ষণ ও অপহরণ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
উপজেলার পাগলা থানাধীন উস্থি ইউনিয়নের কলোরগাঁও গ্রামের রাশিদ শেখের মেয়ে স্থানীয় ধাইরগাঁও দাখিল মাদরাসার জেডিসি পরীক্ষার্থী ছিল। শনিবার থেকে পরীক্ষা শুরু হলেও যৌন নির্যাতনের ফলে অসুস্থ থাকায় সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ভোরে উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের ধাইরগাঁও মাদরাসার সামনে অপহৃত ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
থানায় মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর ধাইরগাঁও গ্রামের আবদুস ছালামের ছেলে বিপ্লব মেকার (৩৫), পাশের কলুরগাঁও গ্রামের হেলাল উদ্দিন শেখের ছেলে শারফুল (২৬) ও মুর্শিদ খানের ছেলে ওয়াসির খান (২৮) ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে গণধর্ষণ করেন। তাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন পাগলা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে। শুক্রবার ভোরে তাকে ধাইরগাঁও মাদরাসার সামনের সড়কে ফেলে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা লোকজন তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর বাবা রাশিদ শেখ বলেন, আমার মেয়ের জীবন শেষ করে দেয়া তিন নরপশুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
উস্থি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতা এ ঘটনাকে পৈশাচিক, নির্মম আখ্যা দিয়ে জড়িতদের কঠোর বিচারের দাবি জানান।
পাগলা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীদের ধরতে পুলিশ জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।