সিরাজদিখানে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি জোরদখল, জীবননাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ভুক্তভোগী আমেরিকান প্রবাসী মাসুদ রানা সিরাজদিখান প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধূল গ্রামের মৃত আব্দুলের ছেলে মো. মাসুদ রানা (দেলোয়ার হোসেন) তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঢাকা ১৬ লারমিনি স্ট্রিটে আমার ভায়েরা ভাই মো. কবীর আহমেদ ও তার স্ত্রী শামসুন্নাহারকে আমার স্ত্রী সাজিয়ে জাল দলিল করে জমি বিক্রি করেছে। কয়েক মাস আগে তার ছেলের বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। গত ২০০১ সালের ২৪ জুলাই ঢাকা কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা মৌজায় ১৪ শতাংশ জমি আমার স্ত্রী হোসনে আরা মাসুদের নামে ক্রয় করি যার দাগ নং আর এস ৪৭২০। আমি আমেরিকায় থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রী সেজে আমার স্ত্রীর বড়বোন শামসুন্নাহার ও তার স্বামী কবীর আহমেদ দলিল জাল ও প্রতারণা করে জনৈক নুরুল হকের নিকট আমাদের জমি বিক্রি করে। এ ব্যাপারে আপত্তি জানালে এবং বাধা দেই এবং তাদেও বিরুদ্ধে ১৮ সালের সেপ্টম্বওে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা দেই। পওে তারা আপস মিমাংশার প্রস্তাব দিলে আমি মামলা উঠিয়ে নেই। মামলা উঠানোর পর তারা আমাকে অক্টোবওে মিথ্যা একটি মামলা দেয়। মাসুদ রানা আরো বলেন, মিথ্যা মামলার জন্য আমাকে প্রতি মাসে আমেরিকা হতে বাংলাদেশে আসা যাওয়াসহ ৩ লাখ খরচ হয়ে যায়। নির্যাতিত মাসুদ রানা ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি অফিসে বিষয়টি অবগত করেন। সিরাজদিখান সার্কেল সিনিয়র এ্সপি বিষয়টি তদন্ত করে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন। সেখানেও প্রমানিত হয়েছে কবীর গং মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানী করছে। কবীর আহমেদ ও তার ছেলে সায়েম, মেয়ের জামাই মেজবা উদ্দিন এবং তুহিন আমাদের ওপর জীবন নাশের হুমকি দিয়ে অমানবিক মানসিক নির্যাতন করছে। আমি অসুস্থ মানুষ আমাকে তারা প্রতিনিয়ত গুম ও খুন করার হুমকি দিয়ে আসছে এবং বাড়ী, ফ্ল্যাট- সম্পদ মিলিয়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাদ করেছে। এ ব্যাপারে নির্যাতিত পরিবারটি তাদের সম্পদ ফিরে পাওয়াসহ জীবননাশ ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।