কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নরশিংভাঁঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জীবিত দাতা সদস্যকে মৃত দেখিয়ে আরেকজনকে দাতা সদস্য মনোনয়ন দিয়ে সভাপতি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ ইং সালে আলহাজ¦ নুরুন্নবি সরকার, দাতা সদস্য হিসেবে ওই স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। স্কুলের তৎকালিন প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন সরকার, আলহাজ¦ নুরুন্নবি সরকারকে বাদ দিয়ে মোঃ হারুন-অর-রশিদ কে বিদ্যোৎসাহী সদস্য বানিয়ে সভাপতি মনোনিত করেন। পরবর্তীতে সভাপতির মেয়াদ শেষ হলে পূর্বের দাতা সদস্য আলহাজ¦ নুরুন্নবি সরকাকে মৃত দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন সরকার মোঃ হারুন-অর-রশিদকে মিথ্যা দাতা সদস্য মনোনয়ন দিয়ে দ্বিতীয় বারেরমতো সভাপতি নির্বাচিত করেন। প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন সরকার ২০১৭ ইং সালে সভাপতি মোঃ হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে যোগসাজস করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ প্রদানের অভিযোগও উঠেছে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন সভাপতির সঙ্গে যোগসাজস করে স্কুল উন্নয়নের বাৎসরিক বরাদ্দ থেকে লোক দেখানো কাজ করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ হারুন-অর-রশিদ সরকারী বিধান মোতাবেক তৃতীয়বার সভাপতি হতে না পারায় বুঝতেপেরে সুচতুর প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন সরকার, গত ০৪/০৪/২০১৯ ইং তারিখ উপজেলার পাশ্ববর্তী পুটিমারী কাঁজল ডাঙ্গা সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হন। এঘটনা ফাঁস হওয়ায় এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে জনমনে। এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়া হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান কমিটির মেয়াদ শেষের দিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।