ভোলার মনপুরায় ফের ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। ৬ মাস ধরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে ধর্ষণ করে এক যুবক।
৪ঠা নভেম্বর, সোমবার সকাল ১০ টায় থানায় ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ধর্ষিতা তরুণী।
পরে দুপুর সাড়ে ১২ টায় সোনারচর বাড়ির পাশ থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলায় আসামীকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেন। পরে আদালত থেকে ওই যুবককে ভোলা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই সন্জিব কুমার পাহলান।
ধর্ষণ মামলার আটককৃত যুবক হলেন, হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ কাঞ্চন মিয়ার ছেলে মোঃ রাকিব সওদাগর (২৪)।
এদিকে সোমবার দুপুরে লঞ্চযোগে পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিতা ওই তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ছয় মাস পূর্বে অভিযুক্ত আসামি যুবক রাকিব সওদাগর মাষ্টার হাট নানার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ওই তরুণীর সাথে পরিচয় হয়। পরে সর্ম্পক প্রেমে পরিণত হয়। একপর্যায়ে রাতে রাকিব সওদাগর দেখা করতে গেলে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিয়ের প্রলোভনে এই ঘটনা কাউকে বলতে বারণ করে। একইভাবে রাকিব সওদাগর দীর্ঘদিন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। ৩ নভেম্বর রোববার রাতে রাকিব সওদাগর একই প্রলোভনে ধর্ষণ করলে তরুনীর ডাক-চিৎকারে রাকিব পালিয়ে যায়।
মনপুরা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন জানান, তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামি ধর্ষক রাকিব সওদাগরকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।