হোমনায় এক শিশু গহকর্মীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে সাইদুর রহমান রতন প্রকাশ ছাব্বির নামের এক কলেজ ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত সোমবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে উপজেলার ওপারচর গ্রামের মো. আবদুর রহমানের ছেলে। ছয় মাস ধরে চার/পাঁচ বার জোর পূর্বক ধর্ষণ করার কথা পুলিশকে জানিয়েছে মেয়েটি। এ ঘঁনায় মঙ্গলবার ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে।
এদিকে কারও কারও কাছে এমন ঘটনার একটি ভিডিও রয়েছে খবর পেয়ে এর সত্যতা যাচাই করতে একজন সাংবাদিক ভিকটিমের বাড়িতে যায়। সেখানে উপজেলার ওপারচর গ্রামের বশির উল্লাহ্র মাজারের একজন খাদেম ওই সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এতে স্থানীয় সাংবাদিকরা সোচ্চার হলে নড়ে চড়ে বসে পুলিশ। পরে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম ঘটনা উদঘাটনে ঘটনাস্থলে যান।
সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম শিশুটি গত দুই বছর ধরে উপজেলার ওপারচর গ্রামের আজমল হোসেনের ঘরে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছে। প্রায়ই ওই পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে ঘরে একা রেখে বেড়াতে যেতো। এই সুযোগে আজমল হোসেনের ভাগিনা সাব্বির ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে একা পেয়ে গত ছয় মাস ধরে জোর পূর্বক চার বার ধর্ষণ করে। গত সোমবারও দুপুর বারোটার দিকে শিশুটি ঘরে একা ছিল। এ সুযোগে সাব্বির জলপাই নেওয়ার ছুঁতো দিয়ে ঘরে ঢুকে তাকে আবারও ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সাব্বির পালিয়ে যায়।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী বলেন, হোমনা- মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম ভিকটিমের সঙ্গে কথা বললে মেয়েটি তা স্বীকার করে। মঙ্গলবার ভিকটিমের মায়ের করা মামলায় ধর্ষককে আটক করে কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে এবং মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম বলেন, শিশু ধর্ষণের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গেলে আজমল হোসেনের পরিবারের লোকজন ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করে। কিন্তু শিশুটিকে জিজ্ঞাস করলে সে ধর্ষিত হওয়ার কথা পুলিশকে খুলে বলে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধর্ষককে রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে থানার এসআই অহেদ মুরাদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাকে গ্রেপতার করে।
উল্লেখ্য, ধর্ষক সাইদুর রহমান রতন প্রকাশ সাব্বির হোমনা সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।