দেবহাটার নোড়া চারকুরি বাজারে সবুজ সাথী ক্লাব চত্বরে সাধারন ভূমিহীনদের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে নোড়া চারকুনি ভূমিহীনদের আয়োজনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য নবাব আলীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ভূমিহীন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ইয়াদ আলী, ভূমিহীন নেতাদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম, কেনারাম মন্ডল, আমজাদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদালী, আমজাদ সানা, শহিদুল ইসলাম, গোলাম হোসেন, আলমগীর হোসেন, যুবলীগের রফিকুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন সহ শতশত ভূমিহীন পরিবারের নারী পুরুষ সদস্যরা। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেবহাটার নোড়া চারকুনি ভূমিহীন পল্লীতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার জন্য সরকারি নিয়ম মেনে যখন সব ধরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে চলেছে ঠিক সেই সময় এক শ্রেণির চাঁদাবাজ, নামধারী কতিপয় কিছু ব্যক্তি অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। চাঁদার টাকা না পেয়ে এবং ভূমিহীনদের কল্যাণ ফান্ডের টাকা আত্মসাতকারীরা এ অপকর্মে লিপ্ত হয়ে সরকারি কাজের বাধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা আরো বলেন, ২০০৮ সালে শুরু হয় ভূমিহীন পল্লীর বসতি। এরপর ভূমিহীনরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে সেখানে। কিন্তু বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে সে সময়ের কমিটির সভাপতি আবদুল গফ্ফার, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম নজু সাধারণ ভূমিহীনদের থেকে অর্থ আদায় করে আসছে। ভূমিহীনরা প্রতিবাদ গড়ে তোলায় চলতি ১৯ সালের জুন মাসে পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের মধ্যস্থতায় পূর্বের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন হয়। এতে ইয়াদ আলীকে সভাপতি, নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক এবং ইয়াদ আলীকে কোষাধ্যক্ষ করে এক বছরের কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু যখন চলমান কমিটির সভাপতি ইয়াদ আলীর নেতৃত্বে সরকারি নিয়ম মেনে জলমহাল শ্রেণি পরিবর্তন করে ভূমিহীনদের দলিল হস্থান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই পূর্বের কমিটির সভাপতি আবদুল গফ্ফার, নজরুল ইসলাম নজু, আবুল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সহ বেশ কয়েকজন নামধারী নেতা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। তারা ভূমিহীনদের কষ্টের টাকা আত্মসাত করতে না পেরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে সাধারণ ভূমিহীনদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় বক্তারা, কথিত নেতা আবুল হোসেনের বাড়িতে চলে মাদক ব্যবসা চলে বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, গফফারের ছেলে রিপন কিছুদিন আগে ফরিদপুরের মধুখালী থানা পুলিশের হাতে সাড়ে ৮শত বোতল ফেনসিডিল ও ৫শত পিচ ইয়াবাসহ আটক হয়। তাদের বাড়িতে অভিযান চালাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
গফফার-নজরুলদের চাঁদাবাজী বন্ধ হওয়া বুঝতে পেরে সাম্প্রতিক একটি কমিটি ঘোষনা দিয়ে তারা সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ-প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভূমিহীন নেতাদের নামে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে বলে তারা বলেন। গফফার গ্রুপের দীর্ঘদিনের অপকর্ম ও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অসহায় ভুক্তভোগী ভূমিহীনরা।