বর্ণাঢ্য আয়োজনে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পূবালী ব্যাংকের শ্রীমঙ্গল ব্রাঞ্চে ৬০ বছর পূর্তি উৎসব উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যাংকের কলেজ রোডস্থ ব্রাঞ্চে কেক কাঁটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্যাংক ভবনটিকে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন দিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়। ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপক বাবুল চন্দ্র দাশ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চা বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিলের শ্রীমঙ্গল প্রধান কার্যালয়ের কন্ট্রোলার শেখ কামরুল হাসান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ হোসেন ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক এনাম হোসেন চৌধুরী মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ছালিক আহমদ, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব দেবাশীষ চৌধুরী রাজা, বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক অবিনাশ আচার্য।
পূবালী ব্যাংক শ্রীমঙ্গল শাখার ব্যবস্থাপক বাবুল চন্দ্র দাশ জানান, বর্তমানে পূবালী ব্যাংক শ্রীমঙ্গল শাখায় প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এসএমই শিল্প, মহিলা উদ্দ্যোক্তা, ক্ষুদ্র শিল্প, হাউজ লোন, কার লোন, ফরেইন লোনসহ বিভিন্ন খাতে এই ব্রাঞ্চ থেকে এ পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি জানান, পূবালী ব্যাংক বাংলাদেশের স্বায়ত্বশাসিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ব্যাংকটি সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০০৯’ পদক অর্জন করে। এই ব্যাংকটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কয়েকজন বাঙালি উদ্দ্যোক্তার উৎসাহে ১৯৫৯ সালে ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এটি পূবালী ব্যাংক নামে সরকারিকরণ করা হয় এবং পূনরায় ১৯৮৩ সালে এটিকে বেসরকারিকরণ করা হয় ও নামকরণ করা হয় পূবালি ব্যাংক লিমিটেড। বর্তমানে সারাদেশে এই ব্যাংকে শাখা রয়েছে ৪৭৩টি। খুব শীঘ্রই দেশে আরো ৯টি শাখা উদ্ধোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাবুল চন্দ্র দাশ আরো জানান, বর্তমানে পূবালী ব্যাংকের শ্রীমঙ্গল ব্রাঞ্চে সেবার মান আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংক ভবনটির রিমডেলিংসহ গ্রাহক সেবা বৃদ্ধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটি গ্রাহকদের পরিপূর্ণ সেবা দিতে প্রস্তুত।