কিশোরগঞ্জে শীতের আগমনীতে ধুম পরেছে লেপ- তোষক তৈরীর। লেপ তোষকের কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। কিছু দিন পরেই জেঁকে বসবে শীত। এবার কার্তিকের শীতের আমেজ আগেই টের পাওয়ায় জনসাধারণ ভীড় জমাতে শুরু করেছে লেপ তোষকের দোকানে। তুলা, লেপের কাপড় ফোম এবং মজুরী গত বছরের তুলনায় এবার বেশী বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কিশোরগঞ্জের গৌরাঙ্গবাজারের দোকানগুলিতে লেপ তোষকের ভীড় লক্ষনীয়। এসব দোকানে দিন দিন বেড়েই চলছে লেপ-তোষক ক্রেতাদের ভীড়। পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক তৈরী কারিগরদের। গৌরাঙ্গবাজারের লেপ তোষক তৈরীর প্রতিটি দোকানে এখন ১৫/২০টি লেপ তোষক তৈরী হচ্ছে। এদিকে শীত বস্ত্র বিক্রির দোকানেও ভীড় ও কেনাকাটা জমে উঠতে শুরু করেছে। গৌরাঙ্গবাজার সুরুচি বেডিং স্টোরের সত্বাধিকারী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন,বৃটিশ আমল থেকেই লেপ তোষক তৈরী ও বিক্রয় করে আসছি। আমার দাদা মৃত ঈসমাইল ও বাবা মৃত হানিফের পৈতৃক সুত্রে আজও সে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। লেপ তোষক তৈরী করে আজ আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। ৩ মেয়ে ও ১ ছেলেকে পড়ালেখার খরচ মিটিয়ে সংসারের হাল ধরে আছি এ ব্যবসা থেকেই। ইচ্ছে করলেই এ ব্যবসাকে ছাড় দিতে পারিনি। প্রায় শত বছরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হাল ধরে রেখেছি। বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে ৭ জন কারিগর রয়েছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি লেপ তৈরী হয়ে থাকে। ৪-৫ হাত মাপের তৈরী লেপ ৯০০ থেকে ১৬৫০ পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
লেপ তোষক তৈরীর কারিগর মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, আমি ৪০ বছর যাবত লেপ তোষকের কারিগর হিসেবে কাজ করে আসছি। আঃ করিম বলেন,আমার বাবা হাছু মিয়াও একজন লেপ তোষকের কারিগর ছিলেন। বাবার সুত্র ধরেই আমিও আজও চার দশক ধরে এ পেশার সাথে জড়িত রয়েছি। মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন,আমি ৩২ বছর যাবত লেপ তোষক তৈরীর কাজে জড়িত রয়েছি। এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে মন চায় না। আশেম উদ্দিন বলেন,রাত বারটা পর্যন্তও আমরা কাজ করেছি। একটা সময়ে হাড় কাপুনি শীতেও লেপ তোষকের দোকানে ভীড় লক্ষনীয় ছিলো। আগের তুলনায় এখন অনেক কমে গেছে। তবে শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথেই লেপ তৈরীর ধুম পড়বে বলে জানিয়েছেন।