তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নৈশ প্রহরীকে গুরত্বর আহত করার প্রতিবাদে কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাাঙ্গনে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি ও সাময়িক কর্মবিরতি পালন করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন।
প্রায় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডাঃ সুমন বর্মন, ডাঃ বেলায়েত হোসেন, সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমনী আক্তার, মিজানুর রহমান, আজাদুর রহমান, টিটু বর্মন, তাপস চন্দ্র বর্মণ,রুবেল সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা কর্মচারীগন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ভ্রাহ্মনগাও গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নুরুল আমিনকে মারধর করে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে রাতে তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুল আমিনের প্রতি পক্ষের লোকজন হাসপাতালে এসে নুরুল আমিনের উপর আবারো হামলা করে। এ সময় হাসপাতালের নৈশ প্রহরী নাঈম চৌধুরীর তাদের বাধা দিলে তার উপর এলোপাতারী হামলা করে সন্ত্রাসীরা। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদ নূরী তাদের বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকেও গুরত্বর আহত করে। বর্তমানে ফয়েজ আহমদ নুরী ও নাঈম চৌধুরী তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদ নূরী সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাহিরপুর থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ভ্রাহ্মনগাও গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নুরুল আমিন বাদী হয়ে ১০/১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।