সোনারগাঁয়ে পৌরসভার কাউন্সিলর শাহজালাল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়াগেছে। বুধবার দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেনের বেয়াই (ছেলের শশুর) মোঃ মনির হোসেন বাদী হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, সোনারগাঁও পৌরসভার দরপত গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেনের সাথে পাশ^বর্তী ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালালের দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে বুধবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেনের সঙ্গে কাউন্সিলর শাহজালালের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাউন্সিলর শাহজালালের নেতৃত্বে নুরুজ্জামান, বাদশা, কামাল, রফিক ও আবদুর রশিদসহ ১০/১৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র রামদা, বটি, ছোরা, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেন, তার স্ত্রী রওশনারা বেগম, ছেলে মোশারফ ও ফাতেমা বেগম আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেনের বেয়াই (ছেলের শশুর) মোঃ মনির হোসেন বাদী হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেন জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এ বাড়ি আমরা ভোগ দখল করে আসছি। পৌরসভা নির্বাচনের পর শাহজালাল কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে জোর পূর্বক আমাদের জায়গা দখল করার চেষ্টা করে। আমরা বাঁধা দেয়ায় আমাদের পিটিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর শাহজালালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেন আমাদের ১৭ শতাংশ জমি দখল করে আছে। এলাকাবাসী বিচার শালিস করে সীমানা দিয়ে অতিক্রম করার জন্য মানা করে। মুক্তিযোদ্ধা ওই সীমানা লঙ্ঘন করে একটি গ্যারেজ নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দিলে আমাদের উপর তারা আক্রমণ করে আমাদের আহত করে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।