লার্নিং বাই ডুয়িং হোক শিক্ষার ভিত্তি এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৪৯তম গণ প্রকৌশল দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ৭ নভেম্বর সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা আইডিইবি’র কার্যালয় সাহেবপাড়ায় আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবি নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. মোনায়মুল হক। এরপর অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী নুরুজ্জামান জোয়ারদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য বলেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়াসহ অনেকে। সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭০ সালের ৮ নভেম্বর আইডিইবি নামে এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠা লাভের পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আশির্বাদপুষ্ট হয়ে ১৯৭১ সালে ঐতিহাসিকভাবে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ পূর্বক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। সে থেকে আজ অবদি প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় ৪ নেতাকে কারাবন্দী অবস্থায় জেলখানায় হত্যার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ, মানবতাবিরোধী ঘাতকের বিচার, ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালে এসডিজি’র লক্ষ্য সমূহ অর্জন প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের উন্নত শিখরে নিয়ে গেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু স্থাপন ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে জননেত্রী বিশ্ব দরবারে মানবতার মা হিসেবে ভূষিত হয়েছেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য বলেন, সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম কমল, সাংগঠনিক সম্পাদক পিযূষ কান্তি রায়সহ অনেকে। সভা পরিচালনা করেন তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম। সভা শেষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান ও বিশেষ অতিথি। এরপর বিশাল একটি র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এসে এক সভায় মিলিত হয়। সেখানে ১১ দফা দাবি নিয়ে বক্তব্য বলেন, প্রকৌশলী শাহজাহান মোল্লা, প্রকৌশলী রতন কুমার মন্ডল, প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, প্রকৌশলী রাশেদ হাবিব, প্রকৌশলী তারক বন্ধু ব্রহ্মাসহ অনেকে। তারা ৮ নভেম্বরকে গণপ্রকৌশল দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা ও পালনের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।