ধান, নদী, খাল এই তিনে বরিশাল। দখল-দূষনে বিভিন্ন নদ-নদীসহ ভরাট হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদের জনগুরুত্বপূর্ন খাল। গত কয়েক বছর আগে জেলার কয়েকটি উপজেলায় বিএডিসির মাধ্যমে খাল পূনঃখনন করা হলেও বর্তমানে খাল পূনঃখননের দৃশ্যমান কোন প্রকল্প দেখা যাচ্ছেনা। ফলে খালগুলো দখল কিংবা ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেচ সংকট দেখা দিতে পারে আসন্ন বোরো মৌসুমে।
সরেজমিনে জেলার গৌরনদী উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, পালরদী নদীর কমলাপুর থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় চার কিলোমিটার খাল বিভিন্ন কারণে ভরাট হয়ে গেছে। টরকী বন্দর থেকে উত্তরদিকে বাউরগাতির তিন কিলোমিটার খাল দখল করা হয়েছে। খালের উপর পাকা-আধা পাকা স্থাপণা নির্মাণ করায় খালের চিহ্নটুকুও হারিয়ে যেতে বসেছে। এছাড়াও গৌরনদী বন্দর থেকে পশ্চিম দিকে গৌরনদী গয়নাঘাটা থেকে চাদঁশী হয়ে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার খাল মরে গিয়ে কৃষি কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
একইভাবে বাটাজোর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পূর্ব দিকে সরিকল পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার খাল ও খালের দুইপাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে খাল দখল করা হয়েছে। খালগুলো দীর্ঘ বছরেও পূনঃখনন না করার ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পরেছে কৃষি কাজ।
বাটাজোর গ্রামের কৃষক রেমন তালুকদার, শাহাজিরা গ্রামের শামীম মীরসহ একাধিক কৃষকরা জানান, বাটাজোর সরিকল খালটি দীর্ঘবছরেও খনন না করায় জোয়ারের পানি ঢুকতে পারছেনা। এমনকি খালের দুই পাশ দখল করে নিয়েছে কতিপয় প্রভাবশালীরা। খালটি পূনঃখনন করা হলে বোরো চাষে সেচ ব্যবস্থা সহজ হবে।
খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কৃষক এমদাদ হোসেন হাওলাদার বলেন, কয়েক বছর আগ থেকে শুনতেছি কমলাপুর খালটি পূনঃখনন করা হবে। কিন্তু এখনো খালটি পূনঃখনন হচ্ছেনা। খালটি পূনঃখনন করা হলে কয়েক হাজার কৃষকের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে। বোরো মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই মরা খালগুলা পূনঃখনন করে কৃষকদের দূর্দশা লাগবে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেছেন উপজেলার কৃষকরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারিহা তানজীন জানান, যেখানেই খাল দখলের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। নতুন করে কাউকে খাল দখল করতে দেয়া হবেনা। তিনি আরও জানান, খালের মধ্যে থাকা স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।