খুলনার পাইকগাছায় অনুপ্রবেশকারী চাঁদখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদদান কারী হাইব্রিড নেতা মুনসুর আলী গাজীকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবীতে ত্যাগি নেতাদের গণ স্বাক্ষরিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা কমিটির কাছে অভিযোগে প্রকাশ উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের সাবেক বিএনপি নেতা ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর আওয়ামী লীগে যোগদান করে। যোগদানের কিছুদিনের পর একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক করা হয়। এরপর তিনি দলের ত্যাগি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার পাশাপাশি বারবার মামলা দিয়ে হররানি করছে। এ ছাড়া তিনি চাঁদখালী বাজারে সরকারী খাস সম্পত্তি ও কপোতাক্ষ নদের চর ভরাটি জায়গা অবৈধ দখলদারদের দখল করতে প্রত্যাক্ষ সহযোগিতা করে আসছে।
তার অত্যাচার নির্যাতনে অনেক ত্যাগি নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যে নিষ্ক্রিয় হয়েছে। তিনি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে নিজের ক্ষমতা জাহির করছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে হামলা ও মামলার শিকার হতে হয়।
চলতি বছর হিন্দুধর্মের জন্মঅষ্টমিতে জুম্মার নামাজ শেষে এক সংখ্যালঘুর বাড়িতে তার মদদে তার আপন ভাই জামায়াত নেতার নেতৃত্বে লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা করে। ঘটনার সময় বাড়ির মালিক হারান চন্দ্র অধিকারী বাড়িতে নাথাকায় তার বাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে মিছিল সহকারে চলে আসে। জীবনের ভয়ে দীর্ঘদিন আত্বগোপণে থাকার পর প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়িতে ফিরে আসে। দলের এই হাইব্রিড নেতাকে দলের কোনো পদে না রাখার দাবীতে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে অত্র ইউনিয়নে দলের তৃণমূল ত্যাগি নেতা-কর্মীরা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মুনসুর আলী গাজী বলেন আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা।