দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে বের হয়ে জনতার গণধোলাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে দৌঁড়ে পালালেন বালিশকাণ্ডের মূলহোতা গণপূর্ত বিভাগের সেই নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম। গত বুধবার ও বৃহষ্প্রতিবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডসহ নানা দুর্নীতির অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সাত প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা টানা সাড়ে ৫ ঘন্টা জেরা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে দুদকের কার্যালয় থেকে বের হন তিনি। এ সময় প্রকৌশলী মাসুদুল আলমের সঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীরা তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি কথা না বলে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করনে। পরবর্তীতে কয়েকজন মানুষ তাকে চোর চোর বলে ধাওয়া করে। প্রাণে বাঁচতে মাসুদুল রহমান শিল্পকলারর পশ্চিম পাশ দিয়ে পালিয়ে যান। জানা গেছে, মাসুদুল আলমের পর আজ বৃহষ্প্রতিবার ৭ নভেম্বর অন্যান্য প্রকৌশলীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের কর্মকর্তারা। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন-পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তারেক, তাহাজ্জুদ হোসেন, মো. মোস্তফা কামাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামারুজ্জামান, মো. আবু সাঈদ ও মো. ফজলে হক। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৪ জন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শেষে তাদের তলব করেছে দুদক। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আজ সাত জন প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বাকিদের জেরা করবে দুদকের তদন্ত টিম।