১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর,পিরোজপরের স্বরুপকাঠিতে(নেছারাবাদ) পাক সেনাদের হাতে বরর্বতা হত্যাকা-ে নির্ভমভবে নিহত ২১ জন শহীদের শ্রদ্বেয় জানাতে বরছাকাঠিতে(কাচারিউলা) স্মৃতিসৌধ স্থাপন হলেও সংরক্ষণ করা হয়নি “সাত ব্যক্তির এক কবর”। স্বাধীনতার প্রত্তিছবি হিসেবে স্বরুপকাঠিতে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে জড়িয়ে আছে“সাত ব্যক্তির এক কবর’টি। স্বাধীনতার স্মৃতি আজো বহন করে আছে স্বরুপকাঠি সাত ব্যক্তির এ কবরটি। ১৯৭১ সাল ১০ নভেম্বর পড়ন্ত এক বিকেলে বরছাকাঠিতে নির্রাস্ত্র ২৮ জন যুবক পাকবাহীকে প্রতিরোধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। হঠাৎ পাকবাহিনী আক্রাম করলে ৩ জন আহত অবস্থায় ও ২ জন স্ব-শরীরে কোন মতে পালিয়ে গেলেও একই দড়িতে ২৩ যুবক পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গুল্লিবিদ্ধ হলে একই বাড়ির ৭ ব্যক্তি শহীদ হয়। একই এলাকার ২৩ জনের মধ্যে ২১ জন ঘটনা স্থালেই নির্মমভাবে শহীদ হন। এ হত্যাযজ্ঞের পর লাশগুলো একটি গুহে সারিবদ্ধভাবে সেখানে ফেলে রাখা হয়। পাক হানাদারদের তান্ডবে ১৯৭১ সাল ১০ নভেম্বর গোটা স্বরুপকাঠিতে শহীদের লাশের স্তুপে ছুটাছুটি মানুষ কাফনের কাপড়ের অভাবে ও প্রতিকুল পরিবেশের কারণে এলাকাবাসী এ ২১ জনের লাশের মধ্যে একই বাড়ির (মাঝিবাড়ি) ৭ জনকে বরছাকাঠিতে একটি গর্তকরে মাটি দেয়া হয়। একই এলাকার শহীদ হওয়া বাকী ১৪ বরছাকাঠির গ্রামে যে যেখানে সুযোগ পেয়েছে সেখানেই দাফন করেছেন। তবে ৭ ব্যক্তির এক কবরটি নদীর ভাঙ্গনকুলে স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি আজো বহন করে থাকলেও ভাঙ্গনক’লে বিলীন হতে চলছে। এক লোক্বহর্ষক হত্যাকা-ে বরছাকাঠি গ্রামের একই বাড়ির এক কবরে লাশের ওপর লাশ চিরনিদ্্রায় শায়িত শহীদ ব্যক্তিরা হলেন, মুজাফফর আলী মাঝি (৬০), তার ভাই সলেমান মিয়া (৫২), সলেমানের পুত্র শাহ আলম (১৬) বরছাকাঠির কাবারেক আলী ফকির (৩৫), মোঃ নুরে আলম (৩০), মোঃ নীলু আলম (১৭) চান মিয়া (২৬), জবেদ আলী পাল (৪৫), মোকাম্মেল হোসেন (৫০) আজিজুল হক (৩০), ইয়ার হোসেন (৬৫), তার ভাই আনোয়ার হোসেন (৬০), মফেজউদ্দিন (৫৯), তার পুত্র আবুয়াল (১৭), মফেজের ছোট ভাই রফেজউদ্দিন (৪৫),। অন্য শহীদরা হলেন সুটিয়াকাঠির আবদুল কাদের (৩৫), তার ভাই আবদুল রহমান (৩০), কলার দোয়ানিয়া গ্রামের সৈয়াদুর রহমান (৩০), মাঃ কাঞ্চন মিয়া (১৫) আজিজুল হক (৩২) ও হাবিবুর রহমান (৪০)। গুলিবিদ্ধ অপর ২ জন প্রাণে বেঁচে যায়- দক্ষিণ কৌরিখাড়ার কানচন মিয়া (৪৩), বরছাকাঠির রুস্তম আলী (৪২) স্বোধীনতার ৪ বছর পর রুস্তম আলী মারা গেলেও কানচন মিয়া মারা যায় ৪৫ বছর পরে। স্বাধীন দেশে জনপ্রতিনিধিত্বের আসনে কিংবা সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য রাখছে অথবা মুক্তিযোদ্ধস্মৃতিস্থম্ভে পুস্প অর্পণে যখন কানো রাজাকার অংশগ্রহণ করে আবার একজন মুক্তিযোদ্ধা কথা বলার সুযোগ পাই না, তখনই ৭১ এর সেই দিনের ভয়াবহ ও বর্বোচিত হত্যাকা-ের স্মৃতি দুই চোঁখে ভেসে উঠে। স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিচিহ্ন ৭ ব্যক্তির এককবর আজো স্মৃতিসৌধ ও সংরক্ষণ করা হয়নি। তার পরেও বর্তমান সরকার রাজাকারদের বিচারের আওতায় আনায় আনেকটা সস্তি পেয়েছে এসব পরিবার। শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাত শহীদ পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ১ হাজার টাকার চেক, ১ মণ চাল, ১খানা কাপড় ও ১টা কম্বল অনুদান হিসেবে দেয়া হয়।