শক্তি সঞ্চার করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর প্রভাবে শুক্রবারের মতো শনিবারেও দিনভর বরিশাল বিভাগজুড়েই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করেছে। বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল। শনিবার সকাল থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সাথে মৌসুম অনুযায়ী তাপমাত্রা ও বাতাসের গতিবেগও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শনিবার ভোরে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেড়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল জেলায় ৩৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বৃষ্টি দিনভর অব্যাহত থাকবে এবং সময়ের সাথে সাথে বাতাসের গতিবেগ বাড়বে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি (২২ নং) অনুযায়ী শনিবার সকাল ছয়টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। যে কারণে এ বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বন্দর সংলগ্ন উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী চর ও দ্বীপগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে।
সকাল থেকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদ-নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। আর আবহাওয়া অফিস থেকে বরিশাল নদীবন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন। তিনি বলেন, এর আগে শুক্রবার থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আর কেন্দ্রীয়ভাবে উপকূলমুখী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।