ফজলুল হক। পেশায় সংবাদপত্র বিক্রেতা। একসময় পায়ে হেটে ,মোটর সাইকেলে করে দাফিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি।ভাগ্যর নির্মমতাকে মেনে নিয়ে এখন তিনি প্রতিবন্ধি।
প্রতিদিন সকালে বগুড়া শহর থেকে মোটরসাইকেল যোগে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পাঠকের হাতে পত্রিকা পৌছে দিতেন তিনি।
কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়ে তিনি হয়ে যান প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধি হওয়ার পর থেকেই মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন তিনি। জীবন জীবিকার তাগিদে এরপর অসহায় পরিবারটি অনেক কষ্টে ধার দেনা করে একটা অটো রিক্সা কিনতে সক্ষম হন। সে অটো দিয়েই গ্রামে গঞ্জে পাঠকের হাতে পৌছে দিচ্ছিলেন তিনি পত্রিকা।
জানা গেছে ,প্রতিদিনের মতো শহর থেকে শনিবারও পত্রিকা নিয়ে সকাল ৭ টার দিকে রওনা হয়েছিলেন ফজলুল হক। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় হাইওয়ে পুলিশ সার্জেন্ট! রাস্তায় এসব গাড়ি চালানো অবৈধ এমন অভিযোগে আটকে দেয়া হয় তার অটোটি।
সেখানে কর্তব্যরত সার্জেন্ট ফিরোজের হাতে পায়ে ধরে অনুনয় বিনয় করেন পত্রিকা বিক্রেতা ফজলু। তবু মন গলেনি সার্জেন্ট সাহেবের। পত্রিকা দেখেই তিনি আরও ক্ষুব্ধ হন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে তাদের মনে হয়েছে অজানা কোন জিয়ে রাখা ক্ষোভ ঝাড়লেন তিনি।
অটো থেকে টেনে হিচরে নামিয়ে পত্রিকার বান্ডিল রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেন তিনি। এরপর অটোটি আটক করে নিয়ে যান তিনি !
হয়তো তিনি আইনের রক্ষক বলেই ,অনেক আইন আছে তার হাতে। আইনের বলেই হয়তো ঠিকই করেছেন ওই দাপুটে এসআই!
কিন্তু বড় ছোট রাস্তায় চলাচলে কিংবা আসা যাওয়ার তো একটা সুনির্দিষ্ট সময় থাকা উচিত। কারন, এক ছোট রাস্তা থেকে আরেক ছোট রাস্তায় যেতে বড় রাস্তায় একটুখানি উঠতেই হয়! প্রতিনিয়ত চোখের সামনে হাঁ হাঁ করে ছুটে চলেছে শত শত সিএনজি রাস্তায়। সেগুলি গতিতো থামানো যাচ্ছে না কিছুতেই !
তবে কি অজ্ঞাত কোন ক্ষোভ রাগের বলির পাঠা হতে হলো একজন অসহায় পঙ্গু সংবাদ পত্র বিক্রেত কে ? এদিকে এ ঘটনায় বিভিন্ন স্তরের সাংবাদিকবৃন্দ নিন্দা জানিয়েছেন।