কমতে কমতে হঠাৎ করেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম। হিলি স্থলবন্দরের খুচরা বাজারে দু’দিনের ব্যবধানে প্রকার ভেদে দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
যে পেঁয়াজ দু’দিন আগে খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৩০ থেকে থেকে ১৪০ টাকায়।
গতকাল মঙ্গলবার সেই পেঁয়াজই প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। আবার অন্যদিকে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন বাজাওে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০টাকায়।
এদিকে দিনাজপুরের বাজারে উঠেছে নতুন পাতা পেঁয়াজ, আর তা এখন পাওয়া যাচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে।
অপরদিকে বাড়তে শুরু করেছে রসুনের দামও। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর ছিলো আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের বড় মোকাম। প্রতিদিন এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হতো ১২থেকে ১৫শ মেট্রিকটন পেঁয়াজ। কিন্তু ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। আর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষনার পর থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে।
বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সরকার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করায় পেঁয়াজের দাম কমে আসে।
এদিকে, বাজারে উঠেছে নতুন পাতা পেঁয়াজ, তাও এই দু’দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। তবু কম দামে পাতা পেঁয়াজ পেয়ে ক্রেতারা শুকনো পেঁয়াজ কেনা অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে বিভিন্ন জেলার আমদানিকারকসহ হিলির ৮জনকে তলব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতর। এসব আমদানিকারকদের ঢাকায় কাস্টমস শুল্ক ও গোয়েন্দা কার্যালয়ে পর্যায়ক্রমে ডাকা হয় ২৫ ও ২৬ নভেম্বর। তাদের কাছে চাওয়া হয় পণ্যের ইনভয়েস, বিল অফ এন্টি ও এলসিসহ যাবতীয় কাগজ-পত্র।