কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের আজগর আলী দাখিল মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেয়ায় ছাত্র ও অভিভাকদের জনরোষে সুপার আবদুর রহমান মানিক। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে জনরোষ থেকে বাঁচতে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে কসবা থানায় নিয়ে আসে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন জানান, অনুষ্ঠিতব্য দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে আবদুর রহমান মানিক শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালাকে অগ্রহ্য করে প্রতি ছাত্র থেকে ৩৯০০/৪৪০০ টাকা করে নিয়েছেন। স্থানীয় অভিভাবকরা অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বহী অফিসার মাসুদ উল আলম সুপারকে ডেকে নিয়ে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে বলেন। সুপার টাকা ফেরত না দিয়ে ছাত্র এবং অভিভাবকদের বিভিন্নভাবে মুখ না খুলতে চাপ প্রয়োগ করেন।
অভিভাবক আরিফল ইসলাম, পরীক্ষার্থী তানিয়া আক্তার, আমেনা আক্তার, সবুজ মিয়া, শান্তা আক্তার ও ওমর ফারুক গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নিয়ে ওই মাদরাসায় গিয়ে দেখেন স্থানীয় জনতা আবদুর রহমান মানিককে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। উপজলো মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাফর আহম্মদ মাদরা সুপারের বিরুদ্ধে সাধারণ ডাইরি করলে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন এসে সুপার আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ কুটি গ্রামে তার বাড়ি তল্লাশি করে জাল সার্টিফিকেট, বেশ কিছু মোবাইল সিম, বিভিন্ন নামে সিল, প্যাড ও ফরম পূরণের অর্থ উদ্ধার করে।
জানা যায়, আজগর আলী দাখিল মাদরাসায় বিগত দশ বছর যাবত কোনো কমিটি নেই। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া আবদুল্লাহ ওয়াজেদ ২০০৯ সালে সভাপতি ছিলেন।
এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজগর আলী দাখিল মাদরাসা নিয়মানুযায়ী পরিচালনা করছেন না। সুপার আবদুর রহমান আমার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করে না, এমনকি কোনো চেকেও স্বাক্ষর নেয় না। কিভাবে তিনি শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন আমার বুধগম্য নই।
স্থানীয় জনগন জানায় মাদরা সুপার গত কিছুদিন পূর্বে মাদরাসার বহু গাছ বিক্রি করেছেন। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীসহ অনেক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
আবদুর রহমান স্বীকার করেন তিনি নিজেই সভাপতির স্বাক্ষর দিয়ে বেতন বিল উত্তোলণ করেন।