বাঙালি চিত্তে, অতীব নৃত্যে জাগিয়ে নবীন সুর
বৈশাখ আসে নব উচ্ছ্বাসে প্রানের অচীন পুর-
পুরানো তিথীকে জানিয়ে বিদায়, বিগত বেদনা ভুলে
বৈশাখ আনে নব বারতা, প্রাণের দুয়ার খুলে।
হারানো অতীত স্মৃতি বিজড়িত বাঙালি কৃষ্টি ধারা
হয়ে রয় সদা চির জাগত বৈশাখী মেলা দ্বারা-
শুকনো পাতা, যতো খড়-কুটা, দমকা হাওয়ায় উড়ে
বৈশাখ আসে বাংলার বুকে, কাল বৈশাখী সুরে।
লুঙ্গি পরি, গামছা ধরি, টোপর মাথায় দিয়ে
ভাবতে শেখায় পহেলা বৈশাখ, গ্রাম-বাংলাকে নিয়ে-
নতুন বর্ষে, খেয়ালী হর্ষে, বাঙালিপনায় মেতে
ভালোই লাগে ঝাঁল-চানাচুর, ইলিশ-পানতা খেতে।
খেতে জাগে সাধ কাচা-মিঠা আম,এঁচোর কাঠাল রোয়া
লাগে অমৃত সম বাংলার মধু, দই-চিড়া, খই-মোয়া-
আঁকা-বাঁকা গায়ের পথে ঘোড়ার পিঠে চড়ে
ঘুরতে লাগে বড়ই ভালো বৈশাখী গান ধরে।
বলো ঘুরে ঘুরে কবিগুরু সুরে, "এসো হে বৈশাখ এসো"
বাঙালি চেতনায় বিস্মিত হয়ে বাংলাকে ভালো বেসো-
পালকি চড়ো, আঁকড়ে ধরো গ্রামীণ প্রনয় রীতি
বাঁচিয়ে রাখো গায়ের বধুর, মধুর বাধন স্মৃতি।
বাঁজাও বাঁশি প্রানের সুরে, বাঁজাও কাশি-ঢোল
বাউল হয়ে দাওনা ভরে বাংলা মায়ের কোল-
নাও চড়ে আজ গড়ুর গাড়ি, যাও ঘুরে আজ দূরে
খোলা মাঠের মুক্ত হাওয়ায় আপন হৃদয় জুড়ে।