আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই ২টি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্য রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। এজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজও করছেন। এতে প্রাথমিকভাবে ইয়ার্ড, ট্রাক টার্মিনাল ও সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে বন্দরের শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে ১৩২তম বন্দর দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ এসব তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম, সদস্য কমোডর খন্দকার আকতার হোসেন ও সচিব মো. ওমর ফারুকসহ বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ওই বে টার্মিনাল চালু হলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে তিনগুণ। প্রকল্প এলাকার ৬৭ একর জমির জন্য ৩শ ৬৪ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বে টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া টার্মিনাল, কর্ণফুলী কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সীতাকুন্ডে আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৭ সালে জাহাজের সর্বোচ্চ গড় অবস্থানকাল ছিল ৮ দিন পর্যন্ত। ২০১৭ সালে বন্দরে জাহাজ আসে ৩ হাজার ৩শ ৭০টি, ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭শ ৪৭টি। আমদানিকারকদের এখন পণ্য হাতে পাওয়ার জন্য আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়না। বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক কর্ণফুলী নদীতে ৪২ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের কাজ করছেন। এতে বন্দরের ব্যয় হবে ২শ ৪২ কোটি টাকা।