হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি (এসএমসি) গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই উপজেলার পূর্ব নওদাবাস কাশেমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ দোষীদের বিচার দাবী করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ, বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনী তফশীল ঘোষনা করেন রির্টানিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। গত ২৩ এপ্রিল ছিলো খসড়া ভোটার তালিকার উপর আপত্তি নিস্পতির দিন। কিন্তু নির্বাচনী বিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই দিনেই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেতারা পারভীনের স্বামী আশরাফুজ্জামানকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। অন্য বিদ্যালয় থেকে মাসুদ রানা নামে একজন শিক্ষককে নিয়ে এসে শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ কমিটি গঠনের রেজুলেশন করেন। ফলে এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অভিভাবকদের অভিযোগ, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেতারা পারভীনের স্বামী আশরাফুজ্জামান মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে নির্বাচনী বিধি না মেনে নতুন কমিটি গঠনের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নুতন প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি আশরাফুজ্জামান বলেন, আমরা অভিভাবকরা এক মত হয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি মাত্র।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যমুনা বালা বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় কিছুই জানি না। সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ স্যার রির্টানিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে আছেন। তিনিই ভালো জানেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কিছু অভিভাবক ওই দিনে কমিটি গঠনের চেষ্টা করেছে। আমি তাদের বলেছি মনোনয়ন পত্র পত্যাহারের আগে কমিটি গঠন সম্ভব নয়।