মহাসড়ক নিরাপদ করতে লালমনিরহাট অংশের রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের সাড়ে ১৭ কিলোমিটার এলাকার অবৈধ স্থাপনাগুলোর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ। মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার সরকারী সিদ্ধান্তের চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আপাতত লালমনিরহাট অংশে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে শত শত স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার(২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দিনভর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মাহবুবুর রহমান ফারুকী নিজেই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
এর আগে বুধবার সকালে তিস্তা বাসস্টান্ড থেকে লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলেও বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস টিম, পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা।
লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানান, রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়কের লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা বাজার হতে বড়বাড়ি সেলিমনগর পর্যন্ত মহাসড়কের দু'ধারে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা। ফলে এ মহাসড়কটি প্রস্থ্যে ছোট হওয়ায় প্রায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়াও এ মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
মুলত এ মহাসড়কটি নিরাপদ করতে প্রথমত লালমনিরহাট অংশের সাড়ে ১৭ কিলোমিটার পথের অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মাহবুবুর রহমান ফারুকী'র নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রথম দিন সদর উপজেলার তিস্তা বাজার থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুস্ত করা হয়। প্রথম দিনেই সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও বিএনপি'র দলীয় কার্যালয়সহ প্রায় তিনশত স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযান চলবে কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্ত এলাকা লালমনিরহাটের সেলিমনগর পর্যন্ত।
বুল ড্রেজার দিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয় জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস টিম, পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মাহবুবুর রহমান ফারুকী সাংবাদিকদের জানান, মহাসড়ক নিরাপদ করতে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়নি। তাদেরকে দ্রুত স্থান্তরিত করতে বলা হয়েছে। প্রথম দিন প্রায় তিনশতটি স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আপাতত লালমনিরহাট অংশে উচ্ছেদ অভিযান চলছে।