খুলনার পাইকগাছায় নবম শ্রেণি ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশ ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারীদের আটক করতে পারেনি। ফলে ভুক্তভোগী পরিবারের মাঝে চরম উৎকণ্ঠা ও হতাশা বিরাজ করছে। অপহৃত উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৪)। উদ্ধার তৎপরতায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ছাত্রীর পরিবার।
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিযোগ করেন একই গ্রামের মজু গাজীর বকাটে এবং সন্ত্রাসী পুত্র ফিরোজ গাজী কর্তৃক স্কুল ছাত্রী অপহৃত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত অপহৃত মেয়ের কোনো খোঁজ মেলেনি উপরন্ত আসামীর পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত ভিকটিমের পরিবারকে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে ভিকটিম উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মামলা ও পরিবার সূত্র জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে পার্শ্ববর্তী রণজিৎ মাষ্টারের নিকট প্রাইভেট পড়ে ফেরার পর অপহরণের শিকার হয় ঐ ছাত্রী। অপহরণকারীরা মেয়টির পিছু নিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় বাড়ির অন্য সদস্যরা বাড়িতে না থাকায় চেতনানাশক মেডিসিন ব্যবহার করে ছাত্রীর মাতা জয়ন্তী রানী দত্তকে অচেতন করে মেয়েকে অপহরণ করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরে ছাত্রীর পিতা তার স্ত্রীকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান এবং মেয়েকে না পেয়ে ডাকাডাকির এক পর্যায় আশপাশে সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজ নিয়ে মেয়েকে না পেয়ে বিমুর্ষ হয়ে পড়েন। এরপর স্ত্রীর জ্ঞান ফিরলে জানতে পারেন তার কন্যাকে মুখোশধারীরা তুলে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনার দুই দিন পর ছাত্রীর পিতা ২৩ এপ্রিল পাইকগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধোনী ২০০৩ এর ৭/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। যার নম্বর-২৮/১৯।
এ প্রসঙ্গে পাইকগাছা থানা ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, ভিকটিম উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এবং আশা করছি দ্রুত আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।