লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় হামিদা খাতুন (৩৮) নামে তিন সন্তানের জননী গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
রবিবার দুপুরের পর উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। হামিদা বেগম ওই উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের খোরশেদ আহমেদের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পার্শ্ববর্তী গ্রাম লোহাকুচি গ্রামের হামিদ হোসেনের মেয়ে হামিদা খাতুনের সাথে ১৭ বছর আগে খোরশেদ আহমেদের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী কাজের সন্ধানে ঢাকায় চলে যায়। এরপর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মুঠোফোনে ঝগড়া হতো। রোববার সকাল ১১টার দিকে মোবাইলে আবারও ঝগড়া হলে সবার অগোচরে চলে যায় হামিদা বেগম। কিছুক্ষন পরে ছোট ছেলে হাবিবুর রহমান ঘরের ভিতরে মায়ের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীরা লাশটি নামিয়ে রাখে। পরে কালীগঞ্জ থানায় খবর দিলে দুপুরের পর থানা পুলিশ এসে মরদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরজু সাজ্জাত ওড়না দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকীটা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই জানা যাবে।