লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে পিতা ইয়াকুব আলী (৫৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ইয়াকুব আলী ওই এলাকার মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, দুই মেয়ের জননী বিধবা মিনু বেগমকে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন ইয়াকুব আলী। বিয়ের পর এক মেয়ের বিয়ে দিলেও অপর মেয়ে বিথি আক্তার(১৬) ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন ইয়াকুব আলী। গত ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল রাতে স্ত্রী মিনু বেগমকে মারধর করে সজ্ঞাহীন করে। এ সময় লম্পট বাবা ইয়াকুব আলী পাশের কক্ষে মেয়ে বিথি আক্তারকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। মিনু বেগম জ্ঞান ফিরে পেয়ে মেয়ের কান্না শুনতে পান। কান্নার কারণ জানতে চাইলে কোন সদুত্তর না দিয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বিথি।
পরে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে পাটগ্রাম হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ওই রাতেই বিথি'র মৃত্যূ হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যূ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে চিকিৎসকরা মর্গে অবিবাহিত বিথির শরীরে ধর্ষনের আলামত পেয়ে সিআইডিতে প্রতিবেদন পাঠান। রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সিআইডি এক বছর পর শনিবার পাটগ্রাম থানাকে চিঠি পাঠিয়ে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে মামলা নেয়ার সুপারিশ করে।
এ ঘটনায়র রোববার সকালে নির্যাতিতার মা মিনু বেগম বাদি হয়ে পাটগ্রাম থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ওই রাতেই বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াকুবকে আটক করে।
পাটগ্রাম থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ(ওসি) মনসুর আলী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।