মুক্তিপণ চেয়ে এক সন্তানের জননী প্রেমিকাকে অপহরণ, নাচোল থানাপুলিশের সহযোগিতায় ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করেছে ফরিদপুরের ভাঙা থানাপুলিশ। এক সন্তানের জননীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী করে অপহরণকারী। কিন্তু বিধি বাম। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে নাচোল থানা পুলিশের সহযোগিতায় সন্তানসহ ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, ফরিদপুর জেলার ভাঙা থানার পল্লী বেড়া গ্রামের প্রবাসী রিপন চৌকদার এর স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জননী সুমা(২৬)র সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার রাওতাল গ্রামের মৃত ফুল মোহম্মদের ছেলে সাইদুর রহমান(৪৮)। সরাসরি দেখা স্বাক্ষাত হলে কৌশলে প্রেমিক সাইদুর সুমাকে অপহরণ করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবী করে সুমার স্বজনদের নিকট থেকে। অপহৃত সুমার স্বজনরা এ বিষয়ে ফরিদপুরের ভাঙা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে ভাঙা থানাপুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাই ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে জানতে পারে অপহরণকারী নাচোল থানার রাওতাল এলাকায় অবস্থান করছে। বিষয়টি নাচোল থানাকে অবহিত করে ভাঙা থানাপুলিশ নাচোল থানার সহযোগিতায় গত ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে অপহরণকারীর নিজ বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। অপহরণ কাজে সহযোগিতার অপরাধে রাওতাল গ্রামের শুকুর আলীর স্ত্রী জুলেখা বেগম(৪৫), সাজ্জাদ আলীর স্ত্রী পারভিন(৩৮)কে আটক করেন এসআই সঞ্জয় বিশ্বাস। পরে তাদেরকে ফরিদপুরের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।