চলতি বোরো মৌসুমে ভোলাহাট উপজেলার পাঁচটিকরি গ্রামের মৃতঃ মেসের আলীর দরিদ্র ছেলে চুটু ১ বিঘা ৫ কাঠা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেন। জমিতে রোপনকৃত ধান বাড়ীতে তুলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দণষ্ফবেলা খাওয়ার স্বপ্নে চোখে মূখে আনন্দের উচ্ছাস। এমন সময় পাকা ধানে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের মৃতঃ ধুল্লুর ছেলে ডাকু গং তার অগোচরে বইরডাইংগি (রাজ্জাকের ডিপের) কাছে সুরানপুর মৌজার ১৮৭৫ নম্বর দাগে ধান ফোঁটা সময় জমিতে গত ২১ এপ্রিল বিষাক্ত ঘাস মারা কীটনাশক দিয়ে ১ বিঘা ৫ কাঠা জমির ধান নষ্ট করে ফেলেছে বলে কৃষক চুটু অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, তার জমিতে প্রায় ৩০ মণ ধান উৎপাদন হত। বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করায় এক কেজি ধানও ঘরে তুলতে পারবেন না বলে জানান তিনি। চুটু বলেন, ডাকুর সাথে অন্য এক স্থানের ৮শত জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলার জেরে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেনে। চুটু এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ২৫ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ করলে উপজেলা কৃষি অফিসারকে সরজমিন তদন্ত করে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে ইউএনওকে অবহিত করতে বলেন। কিন্তু উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তশলিম উদ্দিন সরজমিন গিয়ে দেখে আসেন। এদিন আসরের পর চুটুর ধানের জমিতে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগের সময় পত্যক্ষদর্শি নামোপাঁচটিকরি গামের আতাউরের ছেলে গরুর রাখাল তাজিরুল জানান, তিনিসহ আরো ২জন ঐ দিন গরু চলা অবস্থায় ডাকুকে সরাসরি কীটনাশক ছিটাতে দেখেন। একই ঘটনার বিষয়ে জমির পাশের ডিপ মেশিনের মালিক আঃ রাজ্জাক ও ঐ গ্রামের মন্ডল আঃ মালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তশলিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। তিনি ধারনা করছেন কে বা কারা ঘাস মারা কীটনাশক দিয়ে ধানগুলো নষ্ট করেছে। তবে তাদের করণীয় কিছু নাই বলে জানান। একই ঘটনায় ভোলাহাট থানার কর্মকর্তা ইনর্চাজ নাসিরউদ্দিন মন্ডল জানান, এ ধরণের ঘটনায় ২টি মামলা হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ এ ব্যক্তি মামলা করেছে কিনা জানি না বলে জানান। তিনি বলেন, যদি মামলা না হয়ে থাকে তবে মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।