ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে গত শনিবার সন্ধায় সনাতন ধর্মালম্বিদের সার্বজনিন দুর্গা মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের দু’পক্ষের সংঘর্ষে মোট ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন-আশুতোষ মন্ডল, অভিমান্য মন্ডল , সুশিল মন্ডল , পারুল মন্ডল , আলোমতি মন্ডল , স্বাবেত্রী মন্ডল , হরিপদ , সাধনা রানী ও নিরাঞ্জন মন্ডল । আহতরা চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার সকালে ৪জন আহতকে মুমূর্ষ অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ব্যপারে চরভদ্রাসন থানায় মন্দির রক্ষা পক্ষ থেকে শংকর চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন এবং প্রতিপক্ষ সুশিল চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। উভয় মামলায় একজন করে দুই মামলার দুইজন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-হরিপদ মন্ডল ও দুলাল মন্ডল । আটকদের ফরিদপুর মুখ্য হাকিম আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহীনুজ্জামান বলেন, “ মন্দির নিয়ে সংঘর্ষ ঘটনায় দু’পক্ষ দু’টি মামলা করেছেন। মামলা দু’টি তদন্ত পূর্বক আসামীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে”।
জানা যায়, বিগত এক যুগ আগে ্উক্ত গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে মৃত স্বর্বেশ্বর মন্ডলের দুই ছেলে শংকর চন্দ্র মন্ডল ও হরিপদ মন্ডল তিন শতাংশ জমি “মাথাভাঙ্গা সার্বজনিন দুর্গা মন্দির” নামে ৭১৬ নং দলিলমূলে রেজিষ্ট্রি করে দেন। সম্প্রতী শংকর চন্দ্র মন্ডল ও হরিপদ মন্ডলের অন্যান্য শরীকরা জমির মালিকানা দাবী তোলে মন্দিরটি ভেঙে অনত্র সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। প্রতিপক্ষ শরীকদের মধ্যে সুশিল চন্দ্র মন্ডল গং ওই মন্দিরের জমি বিক্রির পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলেও জানা যায়।
ঘটনার দিন বিকেল থেকে সুশিল চন্দ্র মন্ডলের সাঙ্গপাঙ্গরা মন্দির ঘরটির বেড়া ও বারান্দা ভাংচুর করতে থাকেন। একই দিন সন্ধায় জমিদাতা শংকর চন্দ্র মন্ডল গংরা মন্রি ভাংচুরের কাজ বাঁধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষ বাশের লাঠী ও রড দিয়ে প্রায় আধা ঘন্টাকাল একে অপরকে মারপিট করতে থাকে। এ ঘটনায় নারী পুরুষ সহ মোট ৯ জন গুরুতর আহত হয়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ঘটনা স্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।