লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর সদস্যগন সীমান্ত এলাকা হতে উন্নত মানের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বেনারশী, লেহেঙ্গা শাড়ী, পাঞ্জাবী, ফেন্সিডিল এবং গাঁজাসহ মাদক তিন চোরাকারবারীকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা।
সোমবার (৬ মে) দুপুরের পর কুলাঘাট ও মোগলহাট বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যগন অভিযান চালিয়ে এই ভারতীয় শাড়ী ও মাদকদ্রব্য গুলো উদ্ধার করেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) সুত্র জানায়, লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর আওতাধীন কুলাঘাট বিশেষ ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মোঃ জয়েন উদ্দিনের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বিশেষ টহলদল সীমান্ত পিলার ৯২৮/৩-এস হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুলাঘাট ব্রিজ এলাকায় ভারতীয় ৩০৬পিচ সাধারন শাড়ী, ০৭ পিচ লেহেঙ্গশাড়ী, ৮৪পিচ পাঞ্জাবী এবং ১টি পিকআপ আটক করে।
মোগলহাট বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৯২৮/৪-এস হতে আনুমানিক ৫০কিঃ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফলিমারীচর নামক এলাকা হতে বাংলাদেশী চোরাকারবারী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার গোরকমন্ডল (বিডিআর বাজার) এলাকার অনীল চন্দ্রের ছেলে শ্রী নয়ন চন্দ্র রায় (২২) অভিনব পদ্ধতিতে সাইকেলের টিউব এর ভিতরে করে গাঁজা পাচারকালে মোগলহাট বিওপির টহল দল কর্তৃক এক কেজি গাঁজা ও ১টি বাইসাইকেলসহ তাকে আটক করে।
একই সময় মোগলহাট বিওপি’র বিজিবি সদস্যের একটি টহল দল সীমান্ত পিলার ৯২৭/২-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুমারটারী নামক এলাকা হতে ১৫ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল এবং ৭ বোতল বিদেশী মদসহ আরো দুইজনকে আটক করে। আটককৃত মালামালের মূল্য-৪০ লক্ষ ২৮ হাজার ২৬০ টাকা।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আনোয়ার-উল-আলম, বিজিবিএম, পিবিজিএম বলেন, সীমান্তে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের মাদকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনার মোতাবেক বিজিবি সদস্যগণ সীমান্তে টহল তৎপরতা আরো জোরদারসহ যথাযথ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
তিনি আরো বলেন, সীমান্তবর্তী মানুষকে অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাকারবারী এবং আন্তঃ সীমান্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যাপক গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিজিবি। সীমান্তবাসীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে গণমাধ্যমের সক্রিয় ভুমিকা সীমান্তকে আরো নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করবে বলে তিনি মনে করেন।