অনেক দিন যাবত নিজের জমি অন্যরা জোর করে দখল করে রাখলেও সল্প সময়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ৫ শতক জমি ফেরত পেলেন কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর গ্রামের শহিদুল গাজী। জানা গেছে শহিদুল গাজীর জমি দখল না করতে পেরে অনেক জায়গা ধরনা দিলেও কোন সাড়া পাইনি সে। এমনকি হয়রানি আর আর্থিক অনটনের কারণে কোথাও মামলা করতে পারেনি। পরে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বিচার চায় সে। গ্রাম আদালতে অভিযোগটির নিষ্পত্তি হয়। কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে গত ৬ মে অভিযোগের নিষ্পত্তি করে রায় প্রদান করেন। এই গ্রাম আদালতে শহিদুলের মতো শত শত অসহায় মানুষের অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এতে আদালতে বা থানায় মামলা কমছে। গ্রাম আদালত ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ১ জন সহকারি গ্রাম আদলতের সহযোতিা করে থাকেন। উপজেলার মহেশ্বরীপুর গ্রামের মৃত্যু মোকছেদ সরদারের পুত্র শহিদুল গাজীর নিজস্ব কবলাকৃত ৫ শতক জমি জোর পুর্বক দখল করে রাখে একই গ্রমের ইব্রাহিম মোড়ল। দখল না পেয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে জানতে পেরে শহিদুল গাজী ইব্রাহিম মেড়লের বিরুদ্ধে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। যার নং-২১/১৯। শুনানী শেষে বিধি ৩১ এর অধীনে গত ৬ মে গ্রাম আদালতের বিচারক ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদার শহিদুল গাজীর অনুকুলে রায় প্রদান করেন। রায় পাওয়ায় শহিদুল গাজী সহ এলাকাবাসী বেশ খুশি। গ্রাম আদালতের সহকারি ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সুরাইয়া খাতুন বলেন, গ্রাম আদালতে অসহায় মানুষেরা ভাল সেবা পচ্ছে। শহিদুল গাজী বলেন, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের কথা জানতে পারি। সে মোতাবেক মামলা করে ন্যায় বিচার পেয়েছি।