ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভূয়া ওয়ারিশ সনদপত্র প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায় রায়পুর ইউনিয়নের মাঝকান্দী গ্রামের মৃত মুজিবর খানের ১২জন ওয়ারিশের মধ্যে ৩জনকে বাদ দিয়ে ৯ জনের নামে একটি ভূয়া ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেছেন রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতালেব হোসেন মৃধা। অভিযোগকারী মৃত মুজিবর খানের ২য় স্ত্রীর একমাত্র ছেলে মোঃ রমজান আলী খান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন- ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে ওয়ারিশ সনদ না দেওয়ায় তার পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন আমার পিতা মুজিবর খান মারা যাওয়ার সময় ছয় পুত্র, তিন কন্যা, ও তিন স্ত্রী রেখে যান। তার রেখে যাওয়া সমুদয় স্থায়ী, অস্থায়ী সম্পত্তি আমার বৈমাত্রেয় ভাই আলম খান জোর পূবক ভোগ দখল করছে। তিনি বলেন আমার মা আছিয়া বেগম মৃত মুজিবর খানে ২য় স্ত্রী। মায়ের একমাত্র ছেলে আমি। বর্তমান রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ৯ নং ওর্য়াড মেম্বর যৌথ স্বাক্ষরে আমার মা, আছিয়া বেগম, আমাকে এবং আমার বড় মায়ের বড় মেয়ে জয়নব বেগম বেনজির কে বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে একটি ভুয়া সনদ আমার সৎ ভাই আলম খান কে প্রদান করে। এর বলেই আলম খান আমার পিতার সম্পত্তি তার আপন ভাইদের নিয়ে ভোগ দখল করছে। আমি ওয়ারিশ সনদের জন্য চেয়ারম্যান ও মেম্বর এর নিকট অনেক ঘুরাঘুরি করলেও আমাকে কোন ওয়ারিশ সনদ দেই নাই। তিনি আরো বলেন বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগকারী রমজান খানের উত্থাপিত নাগরিক সনদপত্রে দেখা যায় তিনি মুজিবর খানের ছেলে। নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত জাতীয় পরিচয় পত্রে তার পিতা মৃত মুজিবর খান, (তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং-১৯৭৪২৯১৫৬৮৪১১৯৬৪০)। এখানে উল্লেখ করা হয় যে, ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মৃধার স্বাক্ষরিত একটি নাগরিক সনদপত্র মোঃ রমজান খানকে প্রদান করেন ২৭/০৩/২০১৯ইং তারিখে, যেখানে পিতার নাম মোঃ মুজিবর খান লিখিত আছে। অথচ এরপর ৩১/০৩/২০১৯ইং তারিখে একই চেয়ারম্যান কর্তৃক মোঃ রমজান আলী খানকে মুজিবর খানের ওয়ারিশ থেকে বাদ দিয়ে তার অন্য সন্তানদেরকে একটি ভূয়া ওয়ারিশ সনদ প্রদান করা হয়। বিষয়টি নিয়ে রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতালেব হোসেন মৃধার সাথে কথা বললে তিনি বলেন- রমজান খানকে আমার ওয়ারিশ সনদ দিতে কোন আপত্তি নেই। তবে নিজ ওয়ার্ড মেম্বর মোকাজ্জেল তার আবেদনে স্বাক্ষর না করায় আমি সনদ দেইনি। তিনি আরো বলেন রজমান খান মুজিবর খানের ২য় স্ত্রীর একমাত্র ছেলে, বিষয়টি আমার জানা আছে। ইউপি সদস্য মোকাজ্জেল হোসেনের সাথে মুঠোফনে কথা বললে তিনি চেয়ারম্যানের উপরে দায়িত্ব চাপিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা মনোয়ার বলেন বিষয়টি নিয়ে আমি রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলেছি, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।