সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৫ মে (বুধবার) দেশে ফিরছেন। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে ওবায়দুল কাদেরের। সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে থাকা একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে থাকা একটি সূত্রে আরও জানা গেছে, অস্ত্রোপচারের ধকল সামলে ওঠার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এখন পুরোটাই সুস্থ। এ অবস্থায় চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তার দেশে ফেরার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের দেশে এসে আগামি ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওবায়দুল কাদের থাকবেন এমন আশা আমরা করছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট নিরসনে এই সেতু দুটি বড় ভূমিকা রাখবে এমন আশা বারবার ব্যক্ত করেছিলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি দেশে থাকাবস্থায় বহুবার সরেজমিনে সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান।’
বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া নেওয়া অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন। এখান থেকেই নিয়মিত তার চিকিৎসক ডা. ফিলিপ কোহের চেম্বারে চেকআপের জন্য যাতায়াত করছেন।
২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়।
গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচ- ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের।
পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে ২০ মার্চ ওই হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি করেন মেডিকেল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৬ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়।
সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে রয়েছেন তার সহধর্মিণী ইসরাতুন্নেসা কাদের, এপিএস মহিদুল হক, সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফাইয়াজ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সুখেন চাকমা, ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার মনসুরুল আলমসহ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন।