খুলনার পাইকগাছায় কর্মস্থলে না থাকা ডা. মো. আবদুর রব কে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। পাইকগাছা-কয়রা এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু শনিবার সকালে আকস্মিক উপজেলার কপিলমুনি ১০শয্যা সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় কর্মস্থলে কোনো ডাক্তার না থাকায় এবং হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সেবার মান নিয়ে তিনি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সাংসদের আকস্মিক এ পরিদর্শনের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সংসদ সদস্য অসন্তোষ প্রকাশ করায় হাসপাতালের কর্মরত মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুর রব কে কৈফিয়ত তলব ও কর্মস্থলে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। কৈফিয়ত তলবে উল্লেখ করা হয়েছে, ১১ মে ২০১৯ সংসদ সদস্য খুলনা-৬ আকস্মিকভাবে সকাল ৮টা ১৯ মিনিটে কপিলমুনি ১০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকা, ১০ বেডের বিপরীতে কোনো রোগী ভর্তি না থাকা, কর্মকর্তার কর্মস্থলের বাহিরে অবস্থান করাসহ নানা বিষয়ের উপর চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার ওই হাসপাতালে পদায়ন থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে এ ধরণের দূর্বাস্থা মোটেই কাম্য নয় এবং ইহা সরকারি শৃংখলা ও আপিল বিধিমালা ১৯৮৫ এর পরিপন্থী।
সেহেতু আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হইবে না তাহার ৩ প্রস্থ্য লিখিত জবাব পত্র জারীর ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করা হয়। অনুরূপ আরেকটি পত্রের মাধ্যমে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কর্মস্থল কপিলমুনিতে অবস্থান না করে পাইকগাছাতে অবস্থান করে কর্মস্থলের দায়িত্ব পালন করায় কপিলমুনি ১০ শয্যা হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পত্রের মাধ্যমে কর্মস্থলে অবস্থান পূর্বক দায়িত্ব পালনের জন্য ডা. মো. আবদুর রব কে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে মুঠোফোনে ডা. আবদুর রবকে পাওয়া যায়নি। তবে কৈফিয়ত তলব ও কর্মস্থলে অবস্থান থাকা প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ডা. মো. আবদুর রবকে পৃথক দুটি পত্র দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা. এএসএম মারুফ হাসান।