আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই অনুষ্ঠানে হট্টগোল ও হাতাহাতি হয়েছে। এ সময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লাঞ্ছিত হয়। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের আয়োজন করা হয়। সে অনুযায়ী সকাল ১১ টা থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পক্ষে আলাদাভাবে মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনের নিচতলায় কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে। একপর্যায় সাড়ে ১১ টায় একটি মিছিল নিয়ে দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী এসে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেওয়ার সময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির তালুকদারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে শার্ট ধরে টানাহেঁচরা করে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় হাতাহাতিও হয়।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির তালুকদার বলেন, মামুন (রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়ারম্যান) এসে প্রথমে পেছন দিয়ে আমাকে কয়েকটা ধাক্কা দেয়। পেছনে ফিরে আমিও ওকে ধরি। এটা ও অহেতুক ঝামেলা করেছে।’ এদিকে বিষয়টি অস্বীকার করে রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়ারম্যান ও গলাচিপা ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, ‘দলের মধ্যে হুমায়ুন দীর্ঘদিন ধরে গ্রুপিং সৃষ্টি করে রেখেছে। একারণে দলের লোকজন ওর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। তাই দলের লোকজন হুমায়ুনকে গণ-মারধর করেছে।’
এদিকে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে গেলে জায়গা পরিবর্তন করে সাড়ে ১২ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য কাউন্সিলরদের ভোট নেওয়া শুরু হয়। এ সময় ২১২জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৯৪ জন উপস্থিত হয়ে ভোট প্রয়োগ করেন। এতে ১০৬ ভোট পেয়ে উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন প্রথম হয়েছেন। আর ৫১ ভোট পেয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল ইসলাম লিটু দ্বিতীয় এবং ৩৭ ভোট পেয়ে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল হোসেন আবু তৃতীয় হয়েছেন।
এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের এমপি মহিব্বুর রহমান মহিব ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর প্রমুখ। এ সময় কাজী আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা এই ফলাফলের তালিকা কেন্দ্রে পাঠাবো। এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিএসবি ও স্থানীয় প্রশাসনের রিপোর্টের পর কেন্দ্রীয়ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।’