গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী জনাব সম রেজাউল করীম এমপি খুলনার পাইকগাছায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সমস্যার সমাধান আশ্বাস দিয়েছেন। পাইকগাছা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তরা সোমবার মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সূত্র জানায়, ১৯৮৩-৮৪ সালের দিকে পাইকগাছায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী জজ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। একই ভবনেই রয়েছে হাজতখানা ও পুলিশ ব্র্যাক। ২০০১ সালে সরকার দেশের উপজেলা পর্যায়ের আদালতগুলো জেলাতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলেও জেলা সদর থেকে দূরত্বের বিশেষ বিবেচনায় আদালত দু’টি পাইকগাছাতেই রয়ে যায়। এতে বিশেষভাবে উপকৃত হন তৃণমূলের সাধারণ বিচার প্রার্থীরা। সময়, অর্থ ও হয়রাণীর হাত থেকে পরিত্রাণ পায় উপকূলীয় অবহেলিত জনপদের বঞ্চিত সাধারণ মানুষরা। তবে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি আদালত দু’টির। পুরনো সেই ভবনেই চলছে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম। দুর্যোগপ্রবন নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা প্রায় ৩৫ বছরেরও অধিক পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ আদালত ভবনগুলো পূণঃনির্মাণে এখন পর্যন্ত উদ্যোগ নেয়া হয়নি। দীর্ঘ দিন যাবৎ ভবনটির ছাদের বিভিন্নস্থানে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে পলেস্তরা। সামান্য বৃষ্টিতে ছাঁদ চুইয়ে পানি পড়ে এজলাসসহ বিভিন্ন স্থানে। এতে অসংখ্য মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সহ জানমাল অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। রীতিমত হুমকির মুখে পড়েছে আদালত পাড়ার স্বাভাবিক নিরাপত্তা ও পরিবেশ। এমন পরিস্থিতিতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে কাজ করছেন আদালতের বিচারক, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ছাড়া আদালতের ১৫ জন কর্মচারী, ৭১ জন আইনজীবী ও ৯০ জন আইনজীবী সহকারী ও তাদের শীক্ষানবীশরা কর্মরত রয়েছেন।
সূত্র জানায়, ভবন সংস্কারের জন্য আদালতের বিচারক ও আইনজীবী সমিতি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনের সংস্কারের আশ্বাস দিলেও আজও তার বাস্তবায়ন হয়নি। এদিকে বিচারাধীন ও নতুন মামলার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রয়োজনীয় ও যথোপযুক্ত স্থান না থাকায় দেওয়ানী, ফৌজদারী মামলার বিপুল সংখ্যক নথি স্তুপকারে রাখতে হয় কক্ষের মেঝেতে। এতে ঐ সব নথিপত্র নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ব্যবস্থাপনা না থাকায় প্রায়ই নথি খুঁজতে বেগ পেতে হয় সংশ্লিষ্টদের। এমনি অবস্থায় সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরে পাইকগাছা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তারা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী জনাব সম রেজাউল করীম এমপির নিকট আদালত ভবনের সংস্কার এবং নতুন আদালত ভবনের জোর দাবি জানান। এ সময় মন্ত্রী মহোদয় আগামি ডিসেম্বর নাগাদ সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন। মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. অজিত কুমার মন্ডল, সাধারন সম্পাদক অ্যাড. দীপঙ্কর কুমার সাহা, সাবেক সহ-সভাপতি মোজাফফর হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ তৈয়ব হোসেন নূর এবং ব্যারিস্টার জনাব নেওয়াজ মোরশেদ।