দিনাজপুরের বিরলে বিয়ে ও প্রেমের প্রলোভনে ১৫ বছর বয়সী কিশোরী নাতনীকে নিয়ে বাড়ী থেকে পালিয়েও ঘর বাঁধা হলনা প্রতিবেশি ৬০ বছর বয়সী দাদুর। অবশেষে সেই দাদুর ঠাই হলো জেল হাজতে।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে প্রেমিক দাদু ও প্রেমিকা নাতনী তাদের দুজনকেই ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল থানা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ১২ মে সকালে বিরল উপজেলার বড় বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মৃত নফির উদ্দীনের পুত্র ৬০ বছর বয়সী প্রতিবেশি দাদু মতিউর রহমান প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পলাশবাড়ী নামক একটি বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর পড়ুয়া নাতনীকে স্কুুলের সামনে থেকে কৌশলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীর বাবা বিরল থানায় সংশ্লিষ্ঠ ধারায় ১২মে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা রুজু হবার পর ১৩ মে বিরল থানার ওসি’র পরিকল্পনায় মামলার আইও সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ( এসআই ) খালিদ হাসান ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল থানা এলাকা থেকে ওই দাদা নাতনীকে আটক করে বিরল থানায় নিয়ে আসে।
মামলার আইও সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ( এসআই ) খালিদ হাসান জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর এম, আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পর্ন শেষে সমাজসেবা অফিসারের সম্মতি নিয়ে ভিকটিমকে তার পরীবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দাদু মতিউর রহমান ( ৬০ ) কে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
বিরল থানার ওসি এটিএম গোলাম রসূল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই প্রতিবেশী দাদুকে জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।