ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিরবাজারে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান। এদিকে অফিস ভাংচুর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাংচুরের প্রতিবাদে রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মঙ্গলবার ইফতারি পরে অফিসে চা চক্রর চলাকালীন সময় ২০/৩০জন লোক এসে হঠাৎ করে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করেন। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শাহজাহান পাটওয়ারী, উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ ও সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামসহ বাঁধা দিলে তারা বাজে ভাষায় গালমন্দ করে এবং বর্তমান এমপি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহুম্মদ শফিকুর রহমানের নামেও বাজে মন্তব্য করে থাকে। এ সময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বর্তমান সংসদ সদস্যের ছবিসহ আসবাব প্রত ভাংচুর করে। ছবি ভাংচুর করতে গেলে বাঁধা দিলে হামলাকারীদের হাতে শাহজাহান পাটওয়ারী গুরুতর আহত হন। পরে সংবাদ পেয়ে নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসে তাদের ধাওয়া করলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
আহত শাহজাহান পাটওয়ারী বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে অফিসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে তারা আমাদের অফিসের উপরে হামলা করে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছবি ভাংচুর করে। পরে আমি ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, এটি নেক্কারজনক ঘটনা। আমি এই জঘন্য কাজ মেনে নেব না। আমি থানা পুলিশ কে বলেছি। দ্রুত তদন্ত করে আপরাধীদের আটকের জন্য।
ঘটনাস্থলে যাওয়া থানার এসআই অনুমং মারমা বলেন, আমি ঘটনাটি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি, ঘটনার তদন্ত চলছে।