লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী সাবেক জাপা নেতা মোস্তাফিজার রহমান মঞ্জু ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিলনের বিরুদ্ধে মহা সড়কের শতাধিক সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ও বুধবার দুইদিন ধরে ওই উপজেলা পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পারুলিয়া এলাকায় এসব গাছ কাঁটা হয়।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে এ ঘটনায় পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবদুর রশিদ ও ওই এলাকার নছিব উদ্দিনের পুত্র আবদুল আজিজ বাদি হয়ে হাতীবান্ধা থানায় পৃথক পৃথক দুইটি অভিযোগ করেন।
পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিউল আলম রোকন বলেন, দক্ষিণ পারুলিয়ার ৮নং ওয়ার্ডের একটি রাস্তা পাকা করনের কাজ চলছে। যার মুল ঠিকাদার পাটগ্রামের বর্ষা এন্টারপ্রাইজের অজয় কুমার সুর। মুল ঠিকাদারের কাজ থেকে কাজটি ক্রয় করে নেন হাতীবান্ধার মোস্তাফিজার রহমান মঞ্জু ও মিলন নামে দুই ঠিকাদার। তারা রাস্তার মাটি কাটার নামে মঙ্গলবার ও বুধবার সারাদিন রাস্তার দু’ধারের শতাধিক মেহগনি ও নীম গাছ কেটে নিয়ে যায়। তিনিসহ উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার ও হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে তদন্ত করে সরকারী গাছ কাটার সত্যতা পান। গাছ কাটার সময় রাস্তার দু পাশে বেশ কয়েকজন কৃষকের উঠতি ভুট্টা ক্ষেত নষ্ট করা হয়েছে। এদিকে রাস্তার কাজও নি¤œমানের হচ্ছে। তিনি বিষয়টি তাৎক্ষনিক ইউএনও ও ওসিকে অবগত করেন। উপজেলা প্রকৌশলী সাথে সাথে এক নির্দেশে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় দু’টি পৃথক পৃথক অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তাফিজার রহমান মঞ্জু সরকারী গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রাস্তার পাশে যাদের জমি তারাই গাছ কেটে নিয়ে গেছে। উল্টো এলাকাবাসী আমার শ্রমিককে মারধর করেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার বলেন, ঘটনাটি শোনা মাত্রই তিনি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রাস্তার কাজ নি¤œমানের পাশাপাশি সরকারি গাছ কাঁটা ও পার্শবর্তী ভুট্টা ক্ষেতের ক্ষতি করার সত্যতা পেয়েছেন। ইতিমধ্যেই পত্র দিয়ে ওই রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি বিষয়টি তার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
হাতীবান্ধা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ওমর ফারুক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাস্তার সরকারি গাছ কাটার দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। থানা পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছেন। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ গ্রহনের ব্যবস্থা চলছে।