চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে খাস জমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে ঘরবাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের টাকাহারা বাজারের পাশের্^ এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদের, ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু, ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসরাইল হক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ মৃত সোলেমান এর ছেলে আয়েশ উদ্দীন ও মৃত সামমোহাম্মদের মেয়ে মর্জিনা(৩৫)’র জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পোত্তির জন্য উপস্থিত হন। কিন্তু উভয়পক্ষের লোকজন বিরোধীয় জমি মাপজোখ না করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নাচোল থানার ওসি(তদন্ত) আবদুল হান্নান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। এ ঘটনায় আয়েশ উদ্দীন(৬২) ও মর্জিনা খাতুন(৩৫)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।
আয়েশ উদ্দীন জনায়, সে টাকাহারা দোগাছী মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত ৫৬০ দাগের ২১শতাংশ জমির মধ্যে ১৭শতাংশ জমি ভোগদখল করে বসবাস করতে থাকে। উল্লেখ্য, আয়েশ উদ্দীনের ক্রয়করা জমি সরকারী রাস্তায় পড়ে যায়। তাই আয়েশ উদ্দীন বাধ্য হয়ে ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসকে অবহিত করে দীর্ঘদিন থেকে ওই খাস জমিতে বসবাস করে আসছিলো। কিন্তু মৃত সামমোহাম্মদের তৃতীয় লিঙ্গধারী মেয়ে মর্জিনা দীর্ঘদিন থেকে মাধবপুরে বসবাস করে আসলেও প্রায় ২ বছর পূর্বে ওই খাস জমির পাশে জনৈক আবদুর রাজ্জাকের নিকট থেকে ২শতাংশ জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ি নির্মান করে। মর্জিনার বাড়ি ও মসজিদের রাস্তা হিসেবে আয়েশ উদ্দীন প্রায় ৯ফিট চওড়া করে রাস্তার যায়গা ছেড়ে দিলেও মর্জিনা সেটি মানতে পারেনি। অপরদিকে মর্জিনার দাবি তার ক্রয়করা যায়গায় বড়ি নির্মান করলে আয়েশ উদ্দীন তার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে ফেলে। থানাপুলিশের পরামর্শে ও উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ফতেপুর ইউপি চেয়রম্যানের উপস্থিতিতে মাফজোখ হবার কথা থাকলেও আয়েশ উদ্দীনের স্ত্রী রাবোয়া(৫০),তার ছেলে শাজাহান((৩৪) ও তার স্ত্রী রোজিনা(৩২), আয়েশ উদ্দীনের বড় ছেলে বাদশা(৩৫) ও ছেলের বউ আরমানী খাতুন(৩২), আয়েশ উদ্দীনের মেয়ে জুলেখাসহ আমাকে এবং আমার পক্ষের লোকজনের উপর হামলা চালায়। অপরদিকে আয়েশ উদ্দিন দাবী করেন মর্জিনা তার লোকজন নিয়ে আমার পরিবারের উপর হামলা চালায়। এ ব্যাপারে নাচোল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান খবর পেয়েই ওসি(তদন্ত) আবদুল হান্নানকে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠাই। তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আয়েশ উদ্দীনের পক্ষের লোকজন নিজেদের কবুতরের খাঁচায় আগুন ধরিয়ে দিলে উপস্থিত লোকজন তা নিভিয়ে ফেলে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পোত্তির চেষ্টা চলছে।