নানা প্রতিকূলতার মাঝে দারিদ্রকে পেছনে ফেলে স্বপ্ন জয়ের দিকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগাবাড়ী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মেধাবী ছাত্রী মহারানী। সব ক্ষেত্রে মেধাবী কিন্তু দারিদ্রের কশাঘাতে জর্জরিত মহারানী খাতুন। তার আগামী দিনের লেখাপড়া এগিয়ে নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে। বরাবরই মেধাবী মহারানী এবারের ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় আলিনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। একই বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে জেএসসি তে গোল্ডেন জিপিএ-৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে সে। এছাড়া ২০১৩ সালে পূর্ব ব্রজনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। তার এ লেখাপড়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করেছে স্কুলের শিক্ষক মন্ডলী ও পিতা-মাতা সহ আত্মীয়-স্বজনরা। শিক্ষা জীবন শেষ করে সে ডাক্তারি পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতায় উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছে। এরমধ্যে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় সে দুইবার বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নেয়। এছাড়া ইসলামী ফাউন্ডেশন আয়োজিত কেরাত ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হয়েছে। উপজেলার বাংগাবাড়ী ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকার একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া মহারানী খাতুনের পিতা দুরুল হুদা, মাতা মরিয়ম বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সে চতুর্থ সন্তান। অন্যান্য তিন বোনের মধ্যে দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। আর এক বোন আলিনগর স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেনীতে অধ্যায়নরত রয়েছে। তার একমাত্র ভাইটি সবার ছোট। দিনমজুর পিতা অনেক কষ্ট করে এখনো তার পড়াাশোনার খরচ চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক মন্ডলী ও পিতা মাতার উৎসাহে তার পড়াশোনা এসএসসি পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে গেলেও আগামী দিনে পড়াশোনা নিয়ে সে বেশ চিন্তিত রয়েছে। সে তার লেখাপড়া এগিয়ে নিতে সমাজে বিত্তবান ব্যক্তি সহ সংশি¬øষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করেছে।