বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দলীয় কার্যলয়ে ঢুকে রতন আকন্দ (৩৩) নামে ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্যকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। সারিয়াকন্দি পুলিম বলছে, এটি কোন রাজনৈতিক হত্যাকান্ড নয়। নিহত রতন উপজেলার কাটাখালি গ্রামের ইদ্রিস আকন্দের ছেলে।
জানা গেছে, সোমবার রাতে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রতনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে হলে রাতে সে মারা যায়। মঙ্গলবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ রতনের লাশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করলে তাকে পারিবারীক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহতের পারিবারীক সূত্রে দাবী করা হয় রতন মিয়া আকন্দ কৃষি কাজের পাশাপাশি রামচন্দ্রপুর সাংগঠনিক ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রতনের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ক্যাডারদের বিরোধ ছিল।
এদিকে স্থানীয়রা আরো জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় রতন রামচন্দ্রপুর সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইফতার করতে এসেছিল। ইফতারের পর দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে ফুলবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলু, তার দুই ছেলে ছাত্রদল কর্মী সনি ও রনি, জহুরুল, লিটু, সাগর, যুবদল কর্মী মিনহাজ এবং আবু বক্কর ঢুকে পড়ে। তারা রতন মিয়ার বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় রতনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে রাতে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সারিয়াকান্দি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এনায়েতুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এফএনএস’কে বলেন,, সারিয়াকান্দি এলাকায় এটা কোনো রাজনৈতিক হত্যাকা- নয়। পূর্ব বিরোধের জের নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। শেষ খবর পর্যন্ত হত্যা ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছিল