নাটোরের বড়াইগ্রামে সরকারী খাদ্যগুদামে ধান চাল সরবরাহকারী মিলারদের সাথে চুক্তিতে নানা অনিয়মের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন মিল মালিকরা। আদালত শুনানী শেষে মামলার বিবাদী জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্যের আগামি ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বড়াইগ্রাম সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোঃ তারিকুল ইসলাম এই আদেশ প্রদান করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এ বছর বড়াইগ্রামে ধান চাল সরবরাহকারী মিলারদের সকল কিছু বিবেচনা করে ৭৮ টি মিলকে উপযুক্ত ঘোষণা করে উপজেলা খাদ্য ক্রয় কমিটি। খাদ্য বিভাগ এই তালিকাকে অনুমোদন করলে সেই মোতাবেক চুক্তি সম্পন্নের শর্ত মতো সরকারি কোষাগােের টাকা জমা দান করেন মিল মালিকরা। এর মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার শেষ দিনে ৫৫ জন মিলারের কাগজ চুক্তিবদ্ধ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এতে অবশিষ্ট ২৩ জন মিলার সকল শর্ত পূরণ করলেও চুক্তিবদ্ধ হতে পারেননি। ইতোমধ্যে চুক্তি করার সময়ও পার হয়ে গেছে। এ সময় বঞ্চিত মিল মালিকরা উপজেলা ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে যোগাযোগ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেও কোন ফলাফল না পেয়ে আদালতে বিচার প্রার্থী হন। মামলায় জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপ-পরিচালক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর, বড়াইগ্রাম উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। বঞ্চিত মিলারদের মধ্যে ১১ মিল মালিকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাড প্রসাদ কুমার তালুকদার। বাদী পক্ষের আইনজীবী বলেন, আদালত আগামি ১০ দিনের মধ্যে আসামিদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।